নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন: করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-জয়ে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ একমাত্র টিকাই। তাই দ্রুত প্রতিষেধক হাতে পেতে তৎপরতা আরও বাড়াল কেন্দ্র। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়াল চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হল দেশের পাঁচটি জায়গাকে। সহযোগী সংস্থা হিসেবে ভারতে এই ট্রায়াল চালাবে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব রেণু স্বরূপ জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চালানো হচ্ছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের তৃতীয় পর্যায়ের এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শেষ দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হলে করোনা সংক্রমণ রোধে দেশবাসীকে এই প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত দফার এই ট্রায়ালের জন্য দেশের কোন পাঁচটি জায়গাকে বাছা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, সিরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও দেশে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজে নেমেছে জাইডাস ক্যাডিলা ও ভারত বায়োটেক। এই দুই সংস্থার তৈরি টিকার প্রথম দফার ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
টিকা তৈরির কাজে আশার কথা শুনিয়েছে মার্কিন মুলুকও। মর্ডানা ও ফাইজার সংস্থার তৈরি টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হয়েছে সেখানে। সরকারি সূত্রে খবর, মোট ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবসের উপর তৃতীয় দফায় প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। বছরের শেষ দিকে দুই মার্কিন সংস্থার তৈরি টিকা বাজারে চলে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় দফার এই ট্রায়াল চলবে আমেরিকার ৮৯টি জায়গায়। তবে টিকা দ্রুত আনার জন্য নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। শেষ দফার ট্রায়ালের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন মায়ামি বিশ্ববিদ্যায়লের গবেষকদের সঙ্গে। পরে পেন্স বলেন, ‘সম্ভাব্য টিকাগুলি দ্রুত বাজারে আনার জন্য নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, সব ধাপ ও নিয়ম মেনেই টিকায় ছাড়পত্র দেওয়া হবে।’