কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বানিজ্যের সিংহভাগ হতো পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এশিয়ার বৃহত্তম এই স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত সামগ্রীর প্রায় ৬০ শতাংশ যেত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নানান কারণে রপ্তানিআমদানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা তীব্র সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এছাড়া সামগ্রী বোঝাই লরিও অনেক সময় চুরি হয়ে যাওয়ার সমস্যা ছিল। করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। মাসের পর মাস সামগ্রী বোঝাই লরি দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে অন্যভাবে সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানির জন্য কেন্দ্র সরকার বিকল্প রাস্তার খোঁজ শুরু করে। আগেও রেলপথে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশে সামগ্রী পাঠানো হত। কিন্তু আগের নিয়মে যেকোনও ব্যবসায়ীকে রেলপথে সামগ্রী পাঠাতে গেলে পুরো ট্রেন ভাড়া করতে হতো। ফলে প্রচুর পরিমান সামগ্রী ছাড়া অনেকেই এত ভাড়া দিয়ে রেক নিতে পারতেননা। আগে মূলত রেলপথে পাথর,গম, লোহার যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন সামগ্রী যেত। কিন্তু এবার কেন্দ্র সরকার ট্রেন পথে সামগ্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে নিয়মের বদল এনেছে। এবার থেকে একটি পণবাহী ট্রেনের একটি মাত্র ওয়াগান বা কন্টেনার ভাড়া করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ক্লিয়ারিং এজেন্টরা উদাহরণ দিয়ে বলেন, সড়ক পথে ১০০ টন সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন আট থেকে ১০টি লরি লাগে। কিন্তু একটি কন্টেনারে ২০ থেকে ২৩ টন সামগ্রী নিয়ে যাওয়া যাবে। আগে পেট্রাপোল থেকে বেনাপোলে পণ্যবাহী ট্রাক পাঠাতে কমপক্ষের চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগত। তারউপর পার্কিং চার্জ, নানা জায়গায় তোলাবাজির যন্ত্রণাও ছিল। এখন সরাসরি মাঝেরহাট থেকে কন্টেনারে সামগ্রী বোঝাই করে সর্বোচ্চ ৩৬ঘন্টার মধ্যে তা বেনাপোলে পাঠানো যাবে। আগামী দিনে শুধু বেনাপোল নয়, যশোর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি পণ্য পাঠানো হবে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ব্যবসায়ীরা যে পথে সুবিধা পাবেন, সেই পথে সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি করবেন। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০টি কন্টেনারে প্রায় এক হাজার টন সামগ্রী বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। ফলে আগামী দিনে সড়ক পথে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা ধ্বংস হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। করোনার সমস্যা ও আঞ্চলিক সমস্যার কারণে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মিহিরকুমার চন্দ বলেন, কন্টেনারের মাধ্যমে সব সামগ্রী যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে সড়ক পথে সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি কখনও বন্ধ হবেনা।