পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোভিডের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে এখন লকডাউনের কঠোর গ্যাঁড়াকল। বাড়ির বাইরে বেরনো মানা। কিন্তু কতদিন আর বাড়িতে ঠায় বসে থাকা যায়! কতদিনই বা বাড়ির খাবারে মন বসে! জিভের স্বাদকোরকের তাই নাছোড়বান্দা আব্দার—একটু বাটার চিকেন পেলে মন্দ হয় না! কিন্তু সেটা পেতে হলে তো যেতে হবে সেই সিবিডিতে। একেই লকডাউনের কড়া শাসন। তার উপর এতখানি পথ। অনেক বুদ্ধি খাটিয়েও বিকল্প পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না ওই যুবক। তখন তিনি সোজা রাস্তায় সিবিডিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গ্যারাজ থেকে গাড়ি বের করে চললেন রেস্তরাঁর পথে। নির্বিবাদী হাইওয়ে। মেলবোর্ন থেকে সিবিডির দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। তাও যেতেই হবে। কারণ, সিবিডির নামজাদা রেস্তরাঁয় বাটার চিকেনের স্বাদটাই যে আলাদা! পৌঁছে গেলেন সেখানে। কিন্তু রেস্তরাঁর দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকা হল না তাঁর। পথ আটকালেন বেরসিক এক পুলিস অফিসার। কিন্তু সেই স্বাদ পূরণ তো হলই না! উল্টে ট্যাঁক থেকে খসে গেল ভারতীয় মুদ্রায় কড়কড়ে লক্ষ টাকারও বেশি (১ হাজার ৬৫২ ডলার)! যুবকের অপরাধ? তিনি লকডাউন ভেঙেছেন। অবিবেচক ভোজনবিলাসিতাকে এতটুকু রেয়াত করেননি তিনি। গম্ভীর মুখে খসখস শব্দে খাতায় লিখে ফেললেন ফাইনের অঙ্ক। জরিমানা বাবাদ ওই টাকা তাঁকে দিতে হল পুলিসকে। অস্ট্রেলিয়ায় নামীদামি রেস্তরাঁতে বাটার চিকেন ডিশের সর্বোচ্চ দাম বড়জোর ২২ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় দেড় হাজার টাকার কিছু বেশি। কিন্তু ওয়েটারকে রাজকীয় কায়দায় ‘টিপ’ দেওয়ার বদলে বিরস বদনে জরিমানা মেটালেন ওই যুবক। তারপর বুকভরা হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরলেন তিনি। রেস্তঁরাযাত্রা এবং উদরপূর্তি... কোনওটাই আর মাখনের মতো মসৃণ হল না তাঁর।