কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লড়াইয়ে জিতেছে ব্রিজার। পিছু হটেছে কুকুরটি। বেঁচে গিয়েছে তার আদরের বোন। কিন্তু কুকুরের ধারালো দাঁতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সে। রক্তাক্ত ব্রিজারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। অপারেশন টেবিলে শুয়েও এতটুকু ঘাবড়ায়নি সে। দু’ঘণ্টার জটিল সার্জারি। মুখে ৯০ খানা স্টিচ! এত কিছুর পরেও আগের মতোই ভয়ডরহীন ব্রিজার। মাত্র বছর ছয়েক বয়স তার। কিন্তু ব্রিজারকে এত সাহস জোগাল কে? প্রশ্ন শোনা মাত্র ব্রিজারের চোখে ভেসে ওঠে এক যোদ্ধার নাম। স্টিভ রজার্স। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এক মার্কিন সৈনিক। রজার্স অবশ্য নিছক যোদ্ধা ছিলেন না। সাহস, আদর্শ ও ন্যায়বোধের প্রতীকও তিনি। যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে আসার পর ‘সুপারহিরো’ রজার্সকে ক্যাপ্টেন আমেরিকা নামেই চেনে দুনিয়া। টিকিট কেটে মাল্টিপ্লেক্সে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এর ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো’ সবাই দেখতে যান। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও হারিয়ে যান রজার্স। হারিয়ে যায় তাঁর ক্যাপ্টেন আমেরিকা হয়ে ওঠার গল্প।
গরিব আইরিশ পরিবারে জন্ম তাঁর। রোগা চেহারার রজার্সকে ছেলেবেলা থেকেই বিদ্রূপের মুখে পড়তে হতো। ছেলেবেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন রজার্স। কিন্তু হাল ছাড়েননি। রজার্সের এই সংগ্রাম-কাহিনী বড়দের মুখে শুনেছে ব্রিজার। তাঁকে দেখেছে সিনেমার পর্দায়। কুকুরের আক্রমণ থেকে বোনকে বাঁচাতে মুহূর্তের জন্য হলেও বোধহয় নির্ভিক রজার্সকে দেখতে পেয়েছিল খুদে ব্রিজার। তাই তার সাহসী লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন স্বয়ং ক্রিস ইভান্স। রুপোলি পর্দায় ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ব্রিজারের পিঠ চাপড়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও আপলোড করে বলেছেন, ‘আমি তোমার গল্প শুনেছি। আমি জানি তুমি কী করেছ। বন্ধু, তুমি একজন সত্যিকারের হিরো। সাহসী, পরোপকারী। তোমার বোন, বাবা-মা তোমাকে নিয়ে অনেক গর্ব অনুভব করছেন।’
ক্রিসের অভিবাদন শুধুমাত্র মিষ্টি কথাতেই থেমে থাকেনি। ব্রিজারের ঠিকানা বের করে খুদে ভক্তের জন্য ‘অথেন্টিক ক্যাপ্টেন আমেরিকা শিল্ড’ পাঠিয়েছেন ইভান্স। ‘থেনস’-এর মুখোমুখি যে শিল্ড বের করে রুখে দাঁড়ান অ্যাভেঞ্জার্সের অধিনায়ক। আর সেই শিল্ড এখন ব্রিজারের হাতে। আরও সাহসী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে...।