জেনিভা ও ওয়াশিংটন: কোভিড প্রতিরোধে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। বেলাগাম হলেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে এই মন্তব্য করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর প্রধান টেডরস আধানম। সংক্রমণে জেরবার দেশগুলির প্রতি তাঁর আবেদন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। তার জন্য দরকার একটা নির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজি। প্রত্যেকটা দেশ একসঙ্গে মিলে যা তৈরি করবে। তার মধ্যেই থাকবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধিকে মানতে বাধ্য করার দাওয়াই। তা না হলে এই মহামারী চলতেই থাকবে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।’ সেইসঙ্গে হু প্রধান জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের প্রায় অর্ধেকই আমেরিকায়। এছাড়াও বিশ্বের বহু দেশেই সংক্রমণ আরও মারাত্মক আকার নিচ্ছে। আমেরিকার পরিস্থিতি কিছুতেই বাগে আসছে না। দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন মুলুকে ৩৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। ফ্লোরিডা, টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো প্রদেশগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্ধ করা হল পানশালা, জিম ও গির্জা।
সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। মোট আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে এখন দশম স্থানে। সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৯৬। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৯৪ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৪৬ জনের। তবে আশার কথা, ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭ লক্ষ ৩১ হাজার ১৬৪ জন।মঙ্গলবার ছিল ঐতিহাসিক বাস্তিল দিবস। কোভিডের চোখ রাঙানিতে সেনার ঐতিহ্যবাহী প্যারেড ধুমধাম সহকারে হল না ফ্রান্সে। বরং মৃত করোনা-যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটি পালিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি নেয় সেনা।