কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুজো এলেই কানে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের দরাজ কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী। এবার আর মহিষ নয়, অশুভ শক্তি তথা অসুর যেন করোনা। আর এই ভাবনা থেকেই উদ্যোক্তারা আলোচনা চক্রের নাম দিয়েছিলেন ‘করোনাসুরমর্দিনী’।
করোনার সংক্রমণ রুখতে পৃথিবীর বিভিন্নদেশে জারি হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের মাঝেই লন্ডনের দুই সংগঠন- বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং লন্ডন শারদ উৎসব যৌথভাবে ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ তৈরি করেছে। সেই প্লাটফর্মে প্রথম অনলাইন আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘করোনাসুরমর্দিনী’।
অনুষ্ঠানে লন্ডন শারদ উৎসবের পক্ষে বিদিশা দত্ত, ওয়েলস পুজো কমিটির পক্ষে ডঃ সন্দীপ রাহা, ডাবলিনের সুজন বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির পক্ষে পৃথ্বীশ মজুমদার, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ডঃ সপ্তর্ষি বসু, ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পক্ষে সুবীর দাস এবং ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষে অভিষেক ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন বাথ স্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাগতা ঘোষ এবং পিডব্লুসির অংশীদার অর্ণব বসু। পুরো অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করেছেন বিএইচএফের পক্ষে সুরঞ্জন সোম।
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট এবং লন্ডন শারদ উৎসবের ট্রাস্টি সৌরভ নিয়োগী জানিয়েছেন, উম-পুন এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কীভাবে যৌথভাবে এই দুই সংস্থা কাজ করছে। ব্রিটেন এবং ভারতের নানা সংস্থাকে সংগৃহীত ২০ হাজার ৪৭ পাউন্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। ওয়েবিনারের অন্যতম সঞ্চালক স্বাগতা ঘোষ বলেন, ‘এই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।’ করোনা পরিস্থিতি কীভাবে জীবনধারণের উপর প্রভাব ফেলছে, তা তুলে ধরেন কুমোরটুলি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মিন্টু পাল এবং প্রতিমা শিল্পী কৌশিক ঘোষ। সত্যজিত রায়ের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে লন্ডন শারদ উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।