জোহানেসবার্গ: একটি ঘরের মধ্যে যদি প্রচুর মানুষ থাকেন, তাহলে বাতাসে ভেসেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। ফের এই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গোটা ইউরোপকে তছনছ করে এবার আফ্রিকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা-ঝড়। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। রোগীর চাপে উপচে পড়ছে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডগুলি। ফলে আচমকাই হাসপাতালগুলিতে টান পড়েছে অক্সিজেনের। স্বাস্থ্য বিভাগের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এপিসেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে গুয়াতেং প্রদেশকে। টানা প্রায় পাঁচ-ছ’মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির জেরে এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা সঙ্কটে। তার মধ্যে দেশের দুই বড় শহর জোহানেসবার্গ এবং রাজধানী প্রেটোরিয়ার সঙ্গে গুয়াতেং-এর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফলে সরকার আশঙ্কা করছে, ওই প্রদেশে সংক্রমণ বাড়লে ফের কোপ পড়বে দেশের বাণিজ্যে। যা জাতীয় অর্থনীতির পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না। এদিকে সিঙ্গাপুরের করোনা পরিস্থিতির এখন অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার ছিল দেশের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেখানে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটদান করেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা গিয়েছে, মুখে মাস্ক, ফেস শিল্ড, হাতে গ্লাভস পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে এসেছেন।
ব্রিটেনে ‘বিচ হলিডে’ পালনের প্রথা দীর্ঘদিনের। কিন্তু, করোনার বিধিনিষেধের মানুষ মুষড়ে পড়েছিল। শুক্রবার সরকারিভাবে ব্রিটেনে কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের মতো ফ্রান্স, গ্রিস, ইতালিও শুক্রবার থেকে কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৪৫। মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৮৬। সংখ্যার বিচারে আমেরিকার হাল সবথেকে খারাপ। তারপরেই রয়েছে ব্রাজিল। এই অবস্থায় করোনার উৎস খুঁজতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল বেজিং যাচ্ছে। সেই দলে একজন পশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং একজন মহামারী বিশেষজ্ঞও থাকছেন।