মিনিয়াপোলিস: ‘মা, আমি তোমাকে ভালোবাসি....আমার সন্তানদের বোলো, ওদেরও খুব ভালোবাসি...।’ মৃত্যুর আগে জর্জ ফ্লয়েডের শেষ কথা ছিল এটাই। কর্তব্যরত পুলিস অফিসার আলেকজান্ডার কুয়েং এবং টমাস লেনের বডি ক্যামেরা থেকে পাওয়া রেকর্ডিংয়ের বিশ্লেষণ করে এমনই তথ্য সামনে এসেছে। সাউথ মিনিয়াপোলিসের রাস্তার ধারে এই কৃষাঙ্গ যুবককে হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছে শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসার ডেরেক শোভিন— এই ছবির সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত। ক্যামেরা থেকে পাওয়া ভিডিও রেকর্ডিং থেকে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগের মুহূর্তে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ফ্লয়েড। মৃত্যুভয় তাঁকে গ্রাস করেছিল। ভালোভাবে দম নিতে পারছিলেন না। কিন্তু, একাধিকবার অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমে পুলিস ভ্যানে উঠতে রাজি হচ্ছিলেন না। বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘গাড়িতে তুললে আমি মারা যাব।’ তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ফ্লয়েড। আঘাতের জায়গা থেকে রক্ত ঝরতে শুরু করে। এরপরই তাঁকে পিছমোড়া অবস্থায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে তাঁর ঘাড়ের উপর চেপে বসেন শোভিন। ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল হেল্পের জন্য অপেক্ষা করার সময় ফ্লয়েড কাতর অনুনয় বিনয় করে বলেছিলেন, ‘আমি করোনা আক্রান্ত। দম নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ কিন্তু পুলিসকর্মীরা পাল্টা বলেন, ‘এত কথা যখন বেশ ভালোই বলতে পারছেন, তখন দম নিতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।’ এরপরই ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসা ফ্লয়েড মায়ের উদ্দেশে কথাগুলি বলেন।
যা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ভিডিও সংশ্লিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যপ্রমাণ।