কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওলির ভাগ্য নির্ধারণে সোমবার নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ছিল। তবে তা পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য হয়েছে বুধবার। এরকম একটি পরিস্থিতিতেই চীনা রাষ্ট্রদূতের আসরে নামার খবর সামনে চলে এল। রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনা রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা ভাণ্ডারীর সঙ্গে। বৈঠক হয়েছে প্রবীণ নেতা মাধবকুমার নেপালের সঙ্গেও। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪৪ জন সদস্যের মধ্যে ৩০ জনই চাইছেন দলের চেয়ারম্যান ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন ওলি। প্রচণ্ড ও ওলির মধ্যে সংঘাতের প্রেক্ষিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের এই সক্রিয়তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, ভাঙন এড়িয়ে ওলির পতন ঠেকাতে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিতে যৌথ চেয়ারম্যান চাইছে চীন। যাতে ওলি ও প্রচণ্ডের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু চীনা রাষ্ট্রদূত যেভাবে নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এধরনের বৈঠক সাধারণ বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারদের উপস্থিতিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা এই বৈঠক সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন বলে খবর। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সরকারিভাবে তার কোনও নথিও নেই। এর ফলে কূটনৈতিক নিয়ম কানুন লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
ভারতের তিনটি জায়গাকে অন্তর্ভুক্ত করে মানচিত্র বিল পাশ করানোর সময় বিরোধীদেরও সমর্থন পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। অভিযোগ ছিল, মানচিত্র প্রশ্নে নেপালের এই ভারতবিরোধী অবস্থান মজবুত করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন হৌ ইয়াংকি। মূলত তাঁরই পরামর্শে জাতীয়তাবাদের ধ্বজা উড়িয়েছিলেন ওলি। কিন্তু জাতীয়তাবাদকে হাতিয়ার করতে গিয়ে প্রকাশ্যে বারবার ভারত বিরোধী বিবৃতি দেওয়ায় দলের একাংশে ক্ষোভের মুখে পড়েন নেপালি প্রধানমন্ত্রী।-ফাইল চিত্র