পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চীনা আগ্রাসন নিয়ে মোটেও খুশি নয় আমেরিকা। লাদাখে ভারত-চীন সংঘাতের আবহে আরও একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের স্পষ্ট বার্তা, চীনকে কিছুতেই এশিয়ায় ‘দাদাগিরি’ করতে দেওয়া হবে না। হোয়াইট হাউসের তরফে এই ইঙ্গিত দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্যুইটারে লিখেছেন, শুধু চীনের জন্যই আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।’ হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বার্তাটা খুবই স্পষ্ট। চীন কিংবা অন্য কোনও দেশ এককভাবে প্রভাবশালী হবে, তা কখনই মেনে নেবে না আমেরিকা। এজন্যই মার্কিন নৌবাহিনী নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে দক্ষিণ চীন সাগরে দু’টি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে। সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা যুদ্ধের পর্যায়ে গড়ালে সর্বশক্তি দিয়ে ভারতের পাশে থাকবে মার্কিন সেনাবাহিনী।’ দক্ষিণ চীন সাগরে দু’টি মার্কিন রণতরী পাঠানোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মিডোজ বলেন, ‘গোটা দুনিয়া জানুক, মার্কিন সেনা বিশ্বের শক্তিশালী সেনাবাহিনী। চীন গোটা দক্ষিণ চীন সাগরেই নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে চলেছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, তাইওয়ানের সীমানাতেও নিজেদের প্রতিপত্তি দেখাচ্ছে বেজিং। চীনের এই আগ্রাসন নীতি মেনে নেওয়া যাবে না।’
করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীর জেরে আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, ভারত সহ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। কোভিড-১৯ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন বেজিং কোনও তথ্য দেয়নি বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। ইতিমধ্যে টিকটক সহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ করেছে ভারত। সেই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার আগে আমি আগবাড়িয়ে কিছু জানাতে চাই না। মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে, আমরা সেটা করেই ছাড়ব।’ কিছুদিন ধরেই মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্য দেশে টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন। চীনের আইন অনুযায়ী দেশের প্রতিটি সংস্থাকে কমিউনিস্ট সরকারের কথা মেনে চলতে হবে। তাই চীনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহারকারী মার্কিন নাগরিকদের তথ্য বেজিংয়ের কাছে পৌঁছনোর বিষয়টি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক বলে সদস্যরা জানিয়েছিলেন। ফলে বেজিংকে এবার অর্থনৈতিক দিক দিয়েও চাপে ফেলার কৌশল নিতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। টিকটক সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা, তারই প্রথম পদক্ষেপ।