কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্বজোড়া লকডাউন খুব একটা কাজে আসেনি। যার জেরে অর্থনীতি বাঁচাতে প্রায় প্রতিটা দেশেই ধীরে ধীরে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। ফল, কোথাও বেলাগাম হয়ে পড়েছে সংক্রমণ, তো আবার কোথাও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এখনও সব থেকে খারাপ অবস্থা আমেরিকার। আমেরিকার পরেই রয়েছে ব্রাজিলের নাম। সেখানে ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মৃত্যুর এই ছবিটা আরও খারাপ। কেননা করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যাঁদের কোনও পরীক্ষাই করা হয়নি।
নিউ ইয়র্কে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও আক্রান্তের নিরিখে এখনও শীর্ষে আমেরিকা। সংক্রামিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার। এই সংখ্যা ব্রাজিলের মোট আক্রান্তের দ্বিগুণ। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যে সেখানে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি ৪ হাজার ৩০০ জন। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলিতে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। জার্মানিতেও নতুন করে ২৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৬১। প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৯৬১ জন। একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার জনবহুল রাজ্য ভিক্টোরিয়ায় সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতেই নতুন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লা আল মহসিন চৌধুরীর (৫৭)।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের মধ্যেই পর্যটন ব্যবসা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্গাপুর। ঠিক হয়েছে ধাপে ধাপে তা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তার মধ্যেই সোমবার নতুন করে ২০২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন রোগীরা ছ›টি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে চারটি সম্প্রদায় আবার সে দেশেরই নাগরিক। ফলে এই দ্বীপরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬১ জন। কোভিড-১৯-এর উৎপত্তিস্থল চীনে ফের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।