করাচি (পিটিআই): সোমবার সকালে করাচির পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ চত্বরে বড় ধরনের হামলা চালাল চার জঙ্গি। জঙ্গিদের আক্রমণে চার নিরাপত্তারক্ষী ও এক পুলিস অফিসার প্রাণ হারিয়েছেন। পরে, পুলিস ও রেঞ্জার্সদের গুলিতে চার জঙ্গিই মারা যায়। মারা গিয়েছেন দু’জন সাধারণ নাগরিকও। জানা গিয়েছে, ডিউটিতে না থাকলে পুলিসকর্তারা যে ধরনের পোশাক পরেন, জঙ্গিরা তেমনই পোশাক পরে এসেছিল। জিও নিউজ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা একটি রুপোলি রঙের গাড়িতে এসেছিল। তাদের কাছে ছিল একে-৪৭ রাইফেল এবং ব্যাগভর্তি গ্রেনেড। যে বহুতল বাড়িতে জঙ্গিরা হামলা চালায়, তাতে স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে একাধিক ব্যাঙ্কের হেড অফিস। এদিন সকালে স্টক এক্সচেঞ্জ চত্বরের প্রধান ফটকে গ্রেনেড ছুঁড়ে বহুতলে ঢোকার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তারা স্টক এক্সচেঞ্জের ভিতরে ঢুকতে পারেনি। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে চার নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিসের এক সাব-ইন্সপেক্টর প্রাণ হারান। গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন পাঁচ জন। সন্ত্রাসবাদী হামলার খবর পেয়ে পুলিস ও রেঞ্জার্সের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। তাদের গুলিতে চার জঙ্গিই মারা যায়। জঙ্গিদের কাছে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জাম দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দীর্ঘ লড়াইয়ের পরিকল্পনা করেই তাঁরা এসেছিল। ডন নিউজ জানিয়েছে, জঙ্গিহানা হলেও স্টক এক্সচেঞ্জের কাজ ব্যাহত হয়নি। হামলার পরেই ঘটনাস্থল এবং আশপাশের এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। বহুতলের পিছনের দরজা দিয়ে উপস্থিত জনতাকে কড়া নিরপত্তার ঘেরাটোপে বের করে দেওয়া হয়। সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এবং সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন।
বিকেলে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মজিদ ব্রিগেড। একজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। নাম সলমন। বালুচিস্তান প্রদেশের বাসিন্দা সে। গত বছর গদরের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলার পিছনে এই গোষ্ঠীই ছিল।