নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লাদাখে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একজোট হয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান। আর এবার সমুদ্র মহড়া শুরু করল জাপান ও ভারতের নৌবাহিনী। জাপানের মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এবং ভারতীয় নৌসেনার চারটি যুদ্ধজাহাজ শনিবার এই নৌযুদ্ধের মহড়া দিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস রাণা এবং আইএনএস কুলুশের সঙ্গে জাপানের তরফে রয়েছে জেএস কাশিমা এবং জেএস শিমায়ুকি। জাপান ও ভারতের মধ্যে গত তিন বছরে এই নিয়ে ১৫টি নৌমহড়া হল। কিন্তু শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়ার বিশেষ তাৎপর্য হল, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের পর আবার দুই দেশের এই মহড়ার কোনও পরিকল্পনা সাম্প্রতিককালে ছিল না। সেখানে আচমকা এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে প্রকৃত কারণ কী, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের রণতরীর প্রবল আগ্রাসী টহলদারি এবং ট্রেনিং শুরু হওয়ার পরই ভারত ও জাপান ভারত মহাসাগরে এই মহড়া দিয়ে পাল্টা বার্তাই দিল বেজিংকে। উল্লেখ্য, ভারত, আমেরিকা, জাপানের মালাবার এক্সারসাইজে এবার অস্ট্রেলিয়াও যোগ দেবে বলে আলোচনায় স্থির হয়েছে। এই চার দেশের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগর ছাড়িয়ে ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নে নৌবাহিনী মোতায়েন করার দিকে হাঁটছে অন্য পশ্চিমী দেশও। জার্মানি ও অন্য কিছু দেশ থেকে মার্কিন সেনা সরে আসছে দক্ষিণ এশিয়ায়। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই লাদাখের সীমান্তবর্তী গোটা অঞ্চলে ভারতের স্থল ও বায়ুসেনার প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। পাশাপাশি নৌবাহিনীকে এভাবে সক্রিয় করে তোলার ঘটনায় ভারত মহাসাগরে একটি আন্তর্জাতিক নৌজোটের সম্ভাবনাই স্পষ্ট হয়েছে। এবং প্রত্যেকের নিশানায় একটিই দেশ—চীন।