পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোভিডের প্রথম ধাক্কাতেই ওলটপালট গোটা বিশ্ব। তা সামলাতেই লেজেগোবরে অবস্থা শক্তিধর দেশগুলির। তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ঠুনকো চেহারা এখন প্রকাশ্যে। এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, কোভিডের দ্বিতীয় ‘সুনামি’ আছড়ে পড়বে গোটা বিশ্বে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ প্রায় প্রতিটি দেশই নতুন করে বেসামাল হয়ে উঠতে পারে। মিলেও যাচ্ছে পূর্বাভাস। করোনার ‘সেকেন্ড ফেজ’কে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ৬২ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। সেখানেও দ্বিতীয় দফায় প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র শক্ত হাতে হাল ধরেছে চীনই। গত এক সপ্তাহে বেজিং ও তার সংলগ্ন এলাকায় চোখরাঙাতে পারেনি কোভিড।
বিশ্বজুড়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। তার অর্ধেক ইউরোপ এবং আমেরিকায়। মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৯ জন। শুধু ইউরোপেই মারা গিয়েছেন এক লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৭৫ জন। আমেরিকায় এক লক্ষ ২৫ হাজার ৫৩৯ জন। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা দু’ লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে চার হাজার ৭২ জন সংক্রামিত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৮৩ জন। ফলত, এশিয়ায় যদি দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে পাকিস্তানেই তার কোপ পড়েছে সবথেকে বেশি।
কোভিডের মোকাবিলায় লকডাউনকে মোক্ষম অস্ত্র করে হেঁটেছে সব দেশই। এখন বহু দেশেই লকডাউন শিথিল। সরকারি, বেসরকারি যাত্রী পরিষেবা চালু হয়েছে। জন সমাগম হওয়ার মতো জায়গায় ধীরে ধীরে ভিড় জমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, নিজেদের অবহেলাতেই দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু সেই দিক থেকে কঠোর পদক্ষেপ করেছে চীন। দ্বিতীয় দফায় করোনা জাল বিস্তার করতেই কঠোর লকডাউনে জোর দিয়েছে তারা। সম্পূর্ণ বন্ধ বেজিংয়ের সবথেকে বড় বাজার চত্বর। রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচলে কড়া নিষেধাজ্ঞা। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, সে জন্যই করোনা ফেজ টু আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে চীন।