পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার প্রায় পাঁচ মাস আগে দুই প্রার্থীর মধ্যে জনমত সমীক্ষার ফলাফল বিগত চার দশকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সম্প্রতি সিএনবিসি, সিয়েনা কলেজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট, উইসকনসিনের মার্কেট বিশ্ববিদ্যালয়, কিনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ ইউর্ক টাইমস সহ একাধিক সংস্থা জনমত সমীক্ষা চালিয়েছে। সবকটি সমীক্ষার ফল অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিডেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা কলেজের সমীক্ষা অনুযায়ী ট্রাম্পের থেকে ১৪ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিডেন। তাদের সমীক্ষায় ট্রাম্পকে ফের হোয়াইট হাউসে দেখতে চেয়েছেন ৩৬ শতাংশ। আর ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে দেখতে চেয়েছেন ৫০ শতাংশ। অ-শ্বেতাঙ্গেরা ভরসা রাখছেন বিডেনের উপরেই। শুধু তাই নয়, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, দেশের আর্থিক টালমাটাল অবস্থা এবং বর্ণবিদ্বেষবিরোধী বিক্ষোভের জেরে দেশের একটা বড় অংশ ট্রাম্পের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। মহিলা ও দেশের তরুণ প্রজন্মও বিডেনের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন। ৪৫ বছরের কম বয়সি ৫২ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ বিডেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট।
আবার উইসকনসিনের মার্কেট বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সমীক্ষাতেও ট্রাম্পের থেকে বিডেন ৮ শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়েছেন। ওহায়োর কিনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষাও ট্রাম্প-বিডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রচার পর্বে বিডেন সম্পর্কে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উনি আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবেন অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, বিডেন কথা বলতে জানেন না। কেউ তাঁর কথাও শোনেন না। একসঙ্গে দুটো বাক্য বলার মুরোদ নেই ওঁর। একইসঙ্গে যতবার খুশি বিডেনের সঙ্গে বিতর্কসভায় যোগ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা নিশানা করছেন বিডেনও। তিনি বলেন, উনি (ট্রাম্প) একজন শিশু। উনি বুঝতেই পারেননি যে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। করোনা মহামারী ওঁর ক্ষতি করেনি, আমাদের ক্ষতি করেছে।