গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে, এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার আগে অবশ্য বেজিংয়ের সঙ্গে বিদেশ সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠকে মিলিত হন পম্পেও। সেখানেও কৌশলে টেনে আনেন ভারতের সীমান্ত সংঘাতের প্রসঙ্গ। আবার দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের ‘ঔদ্ধত্য’ যে আমেরিকা ভালো চোখে দেখছে না, তাও ঠারেঠোরে ওই বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে হাওয়াইয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের ওই বৈঠক হয়। সেখানে চীনের বিদেশ সচিব ওয়াং জিয়েচির সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন পম্পেও। বুধবার বৈঠক সম্পর্কে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন তিনি। আর মুখ খুলেই পম্পেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, করোনা-ইস্যুতে চীন সম্পর্কে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি একটুও বদলায়নি। করোনার মোকাবিলায় বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ আগেই উঠেছে। তা নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কম বাগযুদ্ধ হয়নি। সূত্রের খবর, করোনা প্রসঙ্গে চীন আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বিশ্বের পক্ষে তা মঙ্গলজনক হতো বলেই ওই বৈঠকে বেজিংকে বার্তা দিয়েছেন পম্পেও।
শুধু করোনার প্রসঙ্গই নয়, জিয়েচির সঙ্গে চীনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়েও খোলাখুলি আলোচনা করেছেন তিনি। পম্পেও বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে হাওয়াইয়ে আমাদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। ভারতসহ একাধিক জায়গায় চীন সরকার বিনা প্ররোচনায় যেভাবে সেনা অভিযান চালিয়েছে, তার বিরুদ্ধে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’ গত সপ্তাহেই পম্পেও ভারতের গলওয়ান উপত্যকায় চীনের লালফৌজের আগ্রাসন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিকে (সিপিসি) তিনি ‘দুর্বৃত্ত অভিনেতা’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। ন্যাটোর নিয়ম, নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) যেভাবে নিজেদের সীমান্ত বাড়ানোর জন্য ভারতের বিরুদ্ধে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালাচ্ছে, তারও কড়া সমোলোচনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে পম্পেও বলেছেন, ‘পিএলএ’র ভূমিকা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেবে আমেরিকা।’