ওয়াশিংটন: লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন চীনের এক সেনা কর্তাই। মার্কিন গোয়েন্দাদের এক রিপোর্টে উঠে এল এই তথ্য। যা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। গত সপ্তাহে লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের হামলায় শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চীনের তরফেও বহু হতাহতের খবর পাওয়া যায়। দীর্ঘ ৪৫ বছর যেখানে একটিও গুলি চলেনি, সেখানে হঠাৎ করে অশান্তি ছড়ানোয় সাড়া পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। হামলার দায় ভারতের উপরেই চাপানোর চেষ্টাও করেছে বেজিং। এরপরেই প্রকাশ্যে এসেছে মার্কিন গোয়েন্দাদের এই রিপোর্ট। যাতে সাফ বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনার উপর প্রথমে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন চীনা বাহিনীর এক শীর্ষকর্তা। তাঁর নাম জেনারেল ঝাও জংকি। তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের প্রধান। ভারতকে শিক্ষা দিতেই তাঁর নির্দেশে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে হামলা চালিয়েছিল লালফৌজ। ঝাও দাবি করেছিলেন, আমেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলির কাছে চীন যেন কোনওভাবেই দুর্বল বলে প্রমাণিত না হয়। ভারতকে শায়েস্তা করতে সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত আরও এক সপ্তাহ জিইয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলার ছক কষা হয়। ২০১৭ সালেও ডোকলামে একইরকম
হামলা চালাতে চেয়েছিলেন ঝাও। কিন্তু সেবার কোনও কারণে তা হয়নি।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘ঝাওয়ের এই পরিকল্পনাও ঠিকমতো কাজ দেয়নি। উল্টে তা বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে চীনের কাছে। ভারতজুড়ে চীন বিরোধিতা প্রবল হচ্ছে। ৫জি নেটওয়ার্ক বসানোর জন্য চীনা সংস্থা হুয়েইকে বরাত দিয়েছিল ভারত। ১৫ জুনের রাতের ঘটনার পর তা বাতিল করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, টিকটকের মতো বিভিন্ন চীনা অ্যাপ ব্যবহার না করারও ডাক দিয়েছেন ভারতীয়রা। তাই এই জয় চীনের নয়, ভারতের বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।’ তবে ভারতীয় সেনার ওপর হামলার এই সিদ্ধান্তের কথা চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং কতটা জানতেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে একটি সূত্র বলছে, জিনপিং চীন সামরিক বাহিনীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানতেন।