পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বেম তথা ব্ল্যাক এশিয়ান মাইনরিটি এথনিক গোষ্ঠী ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেতে পারেন জানিয়ে হ্যানকক বলেছেন, করোনা সংক্রমণের গতিবিধির উপর নজরদারি চালিয়ে আমরা দেখেছি, জাতিগত সংখ্যালঘুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বা মারা যাচ্ছেন। তাই আমরা মনে করি, যাঁদের ঝুঁকি বেশি, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার প্রথমে তাঁদেরই পাওয়া উচিত। আর এভাবেই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ভারতীয় সহ দক্ষিণ এশীয়রা সবথেকে বেশি ডায়াবেটিসে ভোগেন। তাই করোনা আক্রান্ত হলে, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ২৬০টি হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে করোনায় মৃত্যুহার ২০ শতাংশ বেশি। আরও দেখা গিয়েছে, ৪০ শতাংশ দক্ষিণ এশীয় রোগী টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভোগেন। ডায়াবেটিসে একদিকে যেমন সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়, তেমনই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে এই সমস্ত রোগীদের করোনা হলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। এছাড়া দারিদ্রতা এবং জিনগত পার্থক্য তো রয়েছেই।
রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে বেশি ইনটেনসিভ কেয়ারের প্রয়োজন পড়ছে। এর আগে পিএইচই তার রিপোর্টে বলেছিল, করোনায় শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় বাংলাদেশিদের মৃত্যুহার দ্বিগুণ। কৃষ্ণাঙ্গ তথা জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঝুঁকি প্রসঙ্গে ক্রয়ডন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক শ্রীধর কৃষ্ণ বলেছেন, শারীরিক কার্যকলাপের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের একটা সম্পর্ক রয়েছে। আপনার যদি বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই ভালো থাকে, অথচ আপনি মোটা, তাহলে তা কাজে আসবে না। আপনি যদি এশীয় বংশোদ্ভূত এবং স্থূল হন, তাহলে করোনায় আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই কী ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত এবং কতটা কায়িক পরিশ্রম করেন, তার উপর নির্ভর করছে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি। আর স্থূলতার সঙ্গে হার্টের রোগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে এশীয়দের ভিটামিন-ডি নেওয়ার সুপারিশ করেছেন কৃষ্ণ।