রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন, ৫ জুন: ভারতের মুকুটে ফের সাফল্যের পালক। এমি পুরস্কারজয়ী টিভি প্রযোজক ও পরিচালক কৃষ্ণেন্দু মজুমদারকে চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করল ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস বা বাফটা। গত ১ জুন এই ভারতীয় তথা বাঙালি বংশোদ্ভূতকে বাফটার শীর্ষপদে নিযুক্ত করা হয়েছে। বাফটার ৭৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম অন্য বর্ণের কেউ এই পদে বসলেন। পাশাপাশি, ৩৪ বছরের চেয়ারম্যান পদের ইতিহাসে কৃষ্ণেন্দুই সর্বকনিষ্ঠ। কৃষ্ণেন্দুর চেয়ারম্যান পদে বসার সঙ্গে সঙ্গেই বাফটার সংশ্লিষ্ট পদের মেয়াদ বেড়ে হয়েছে তিন বছর। প্রসঙ্গত, এর আগে এক বছরের জন্য বাফটার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কৃষ্ণেন্দু। পাশাপাশি বাফটার বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন কৃষ্ণেন্দু। বাফটার সঙ্গে তাঁর ১৪ বছরের সম্পর্ক। গত ৯ বছর ধরে তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। ২০০৬-১০ পর্যন্ত লার্নিং অ্যান্ড নিউ ট্যালেন্ট কমিটি এবং ২০১৫-১৯ পর্যন্ত টেলিভিশন কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন কৃষ্ণেন্দু। এ বছর চলচ্চিত্রের পুরস্কার দেওয়ার সময় বৈচিত্র্যের অভাব দেখা দিলে তাঁকে বাফটার অ্যাওয়ার্ডস রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। প্রযোজক পিপা হ্যারিসের থেকে বাফটা চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বগ্রহণ করেন কৃষ্ণেন্দু।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর কৃষ্ণেন্দু বলেছেন, এই সম্মানে আমি অভিভূত। পিপা হ্যারিসের স্থলাভিষিক্ত হতে পেরে আমি সম্মানিত। উনি যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আমি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের শিল্পের ক্ষেত্রে এই বছরটা খুব অস্থির এবং কঠিন। পিপার সঙ্গে কাজ করে কোভিড পরবর্তী এই শিল্পের পুনর্গঠন করতে চাই। তিনি আরও বলেছেন, সমস্ত ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গের মানুষদের সমর্থন জানায় বাফটা। বাফটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈচিত্র ও অভিনবত্বের সংযোজন প্রয়োজন। আমরা আমাদের শিল্পক্ষেত্রের পরিবর্তন আনতে নেতা হিসেবে কাজ করে যাব।
আইটিএন নিউজ ট্রেনি এবং বিবিসি প্রোডাকশন ট্রেনি হিসেবে কাজ করে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন কৃষ্ণেন্দু। তিনিই প্রথম কোনও চলচ্চিত্রশিল্পী যিনি এই দুই ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৯৬০ সালে কাজের সূত্রে ভারত ছেড়ে ব্রিটেনে চলে আসেন কৃষ্ণেন্দুর বাঙালি বাবা-মা। পরে সাউথ ওয়েলসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।