রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
করোনা ছিল জর্জের |
নিউ ইয়র্ক, ৪ জুন (পিটিআই): পুলিসি অত্যাচারে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল আমেরিকা। এরই মধ্যে জানা গেল করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেনেপিন কাউন্টির চিকিৎসক ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করে একথা জানিয়েছেন। গত ৩ এপ্রিলে ফ্লয়েডের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মিনেসোটার স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক অ্যান্ড্রু বেকার জানান, ফ্লয়েড মারা যাওয়ার পর তাঁর দেহ থেকে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটাও বলা হয়েছে, ফ্লয়েডের মৃত্যুর পিছনে করোনা ভাইরাসজনিত কোনও কারণ নেই। |
জর্জ হত্যায় অভিযুক্ত অফিসারের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে রীতিমতো উত্তাল আমেরিকা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি হিংসার ঘটনাও সামনে আসছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় লুটপাট, হেনস্তা ও অন্যান্য অপরাধে ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ওই ব্যক্তির কাছে থাকা একটি হাতুড়িকে বন্দুক ভেবে ভুল করেছিল পুলিস। বিচারের দাবি তুলেছে নিহতের পরিবার। গত সপ্তাহে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে লস এঞ্জেলেসে এখনও পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকাংশই গ্রেপ্তার হয়েছেন কার্ফু ভঙ্গ করার অভিযোগে।
দেশজুড়ে এই গণআন্দোলনের জেরে আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে চিন্তা বেড়েছে হোয়াইট হাউসের। করোনা সংক্রমণের বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। সরকারি কর্তাদের আশঙ্কা, এর ফলে সেপ্টেম্বর নাগাদ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তেমনটা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে।
দেশজুড়ে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ক্রমেই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে ওবামার এই সক্রিয়তা নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের উপর রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়াচ্ছে। গতকাল টাউন হলের একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘প্রকৃত পরিবর্তন’-এর দাবি তুলেছেন ওবামা।