কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কিন্তু পোপের এই বার্তা কী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানে পৌঁছবে? বর্ণ-বিদ্বেষের জেরে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকা জ্বলছে। বিক্ষোভকারীদের বিধ্বংসী তাণ্ডব আছড়ে পড়েছে হোয়াইট হাউসেও। বুধবারও থেমে নেই বিক্ষোভ। তারপরও ঘুম ভাঙেনি ট্রাম্পের। নিজেকে আমেরিকার ‘আইন-শৃঙ্খলার প্রেসিডেন্ট’ বলে জাহির করার একদিন পরেই সস্ত্রীক দ্বিতীয় জন পলের গির্জায় হাজির হয়েছেন ট্রাম্প। আর তাতেই ফুঁসতে শুরু করেছেন তাঁর কট্টর বিরোধীরা। এমনকী ওয়াশিংটনের আর্চবিশপ উইলটন ডি গ্রেগরিও প্রেসিডেন্টের এই সফরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সমালোচকদের বক্তব্য, এতকিছুর পরেও ধর্মীয় প্রতীকের অপব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বিক্ষোভকারীদের জোর করে হটিয়ে জনস এপিস্কোপাল চার্চেও গিয়েছিলেন। এইসব সফরের মাধ্যমে আসলে কী বোঝাতে চাইছেন ট্রাম্প? একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর কাছে এখন বড় দায়িত্ব দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলানো। তা না করে তিনি ধর্মীয়স্থান সফর করছেন। এতে ট্রাম্পের পক্ষপাত মনোভাবেরই পরিচয় মেলে বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকরা। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকার ফাস্ট লেডি একটি স্মরণীয় মুহূর্ত পালন করতেই দ্বিতীয় জন পলের গির্জায় গিয়েছিলেন।
এদিন হিউস্টনে হাজার হাজর মানুষের প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান শ্বেতাঙ্গ পুলিসের হাতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পরবিার। নতুন করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে সিনেমার শহর লস এঞ্জেলসও। কার্ফু উপেক্ষা করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু মানুষ। শহরের বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, ভাঙচুরও চালায় বিক্ষোভকারীরা। হলিউডের একটা বড় অংশও চলে যায় তাঁদের দখলে। বিক্ষোভ ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিস অফিসার ও কর্মী। আড়াই হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তপ্ত নিউইয়র্কও। আমেরিকার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের ন্যায়বিরুদ্ধ আচরণকে দায়ী করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। এদিন তিনি বলেছেন, ‘সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমি এবং আমার স্ত্রী আতঙ্কিত। প্রশাসনের ন্যায়বিরুদ্ধ আচরণে আমরা বীতশ্রদ্ধ। আমাদের শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসছে।’ সুযোগ বুঝে ট্রাম্পকে কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছে ইরানও। ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়েতোল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, ‘প্রকাশ্যে মানুষ খুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে আমেরিকা।