বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
তবে চীন নিয়ে আজ আমেরিকা তার তীব্র ক্ষোভ গোপন রাখেনি। লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনাবাহিনীর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করার ঘটনাকে মার্কিন সরকার স্বৈরাচারী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলেই অভিহিত করেছে। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেছেন, চীনের সেনা ভারতের উত্তর প্রান্তের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। চীনের আচরণ সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক। দক্ষিণ চীন সাগরেও একইভাবে আগ্রাসন দেখাচ্ছে চীন। পম্পেও বলেছেন, চীনের এই আগ্রাসন রুখতে আমেরিকার একটা দায়িত্ব রয়েছে এবং আমরা সেটা পালন করব। চীন ভারতের দিকে এগচ্ছে, হংকংয়ের স্বাধীন অবস্থান ছিনিয়ে নিতে চাইছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে আন্তর্জাতিক নিয়মকে। এভাবে গোটা বিশ্বের কাছে চীন ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
গতকালই অবশ্য চীনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে কোনও অশান্তি নেই। আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। মুখে একথা বললেও, চীন কিন্তু ভারত বিরোধী প্রচার অব্যাহতই রাখছে। সম্প্রতি চীনের পরিবর্তে অনেক বেশি করে ভারতীয়দের বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে। এই প্রচারেই স্পষ্ট, করোনার পর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে চীন। আর তাই বেজিংয়ের সামগ্রিক আগ্রাসনের প্রবণতা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে হংকং থেকে লাদাখ পর্যন্ত। আমেরিকার হুমকি থেকেই স্পষ্ট, পশ্চিমী দুনিয়া দু’দেশের সীমান্ত সমস্যায় ভারতের পাশেই দাঁড়াতে চলেছে। এর অন্যতম কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে বহু রাষ্ট্রই আজ চীনের আচরণে ক্ষুব্ধ।