কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আমেরিকায় টানা ছ’দিনের অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। ৪০টি শহরে জারি করা হয়েছে কার্ফু। ২০টি শহরে রাস্তায় নেমেছে ন্যাশনাল গার্ডের পুরো বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যা কখনও দেখেনি আমেরিকা। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনকে দিয়ে সব ‘ঠান্ডা’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, প্রয়োজনে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের নাকের ডগায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের জেরে নিজেই আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে আশ্রয় নিলেন তিনি। রবিবার সারাদিন প্রকাশ্যেও এলেন না। বরং ট্যুইট করে ফের সংবাদমাধ্যমকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। বললেন, সংবাদমাধ্যমের জন্যই বিদ্বেষ ও নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে লকডাউন ও দুরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে। নিউ ইয়র্ক, মায়ামি, লস এঞ্জেলস, শিকাগো, ওয়াশিংটনের মতো প্রায় সব বড় শহরেই কার্ফু জারি হয়েছে। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ অব্যাহত। বেশ কিছু জায়গায় চক্কর কাটছে সেনার কপ্টার। বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, অভিযুক্ত পুলিসকর্মীর চরম সাজা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে। আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় ধস্তাধস্তির জেরে জখম বহু পুলিসকর্মী। ওয়াশিংটনে একটি হোটেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভকারীদের ভিড় লক্ষ্য করে পুলিসের গাড়ি ধেয়ে আসার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মুনা আব্বি নামে এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, আমাদের কৃষ্ণাঙ্গ পুত্র, ভাই ও বন্ধুদের আমরা মরতে দেব না। এসব ঘটনায় আমরা ক্লান্ত। এদিকে, অশান্তির নিন্দা করলেও কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার নিয়ে সরব মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট নেতা জো বিডেন। এরই মধ্যে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের দেহ তাঁর নিজের শহর হিউস্টনে ফিরল। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য হবে। ছবি: পিটিআই