বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোভিডের হাত থেকে রক্ষা মেলেনি রোমানিয়ার। সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব রুখতে লকডাউনের রাস্তাতেই হাঁটতে হয়েছে। একদিন বাজারে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল লুপের। তাঁর কথায়, ‘লকডাউনের মধ্যে আমার বাগানে কিছু চারাগাছ লাগানোর জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সামজিক বিধি মানছেন না কেউই। গাদাগাদি ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সবাই। বাড়ি ফিরে ঠিক করলাম এমন জুতো বানাবো যা পরলে হাসিমুখে সবাই সরে দাঁড়াবে।’ ১৬ বছর বয়স থেকে জুতো তৈরি করছেন লুপ। ট্রান্সেলভেনিয়ায় একটি জুতোর দোকানও রয়েছে তাঁর। দীর্ঘ ৩৯ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইয়া বড় একটি ‘জুতো আবিষ্কার’ করে ফেললেন তিনি। লুপ বলেছেন, ‘দু’জন মানুষ আমার তৈরি এই জুতো পরে মুখোমুখি দাঁড়ালে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় থাকবে।’
ইউরোপের পথে-ঘাটে দেখা যাচ্ছে ‘জায়ান্ট হাট’। এই সব অতিকায় বা প্রকাণ্ড টুপি মাথায় দিলে অন্তত দু’মিটারের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত। জার্মানের একটি কাফেতে এই রকম টুপি পরে দূরত্ববিধি মেনে চলছেন ক্রেতারা। টুপিটি দেখতে অনেকটা ইংরেজি ‘টি’ অক্ষরের মতো। অর্থাৎ টুপির তিন দিকে তিনটি পাইপ দিয়ে তৈরি শিং। প্যারিসেও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে বেশ মজার টুপি পরছে মানুষ। এইসব টুপির নির্মাণ কৌশল একটু অন্য ধরনের। টুপির পিছনের দিকে দু’মিটার লম্বা একটি স্কেল সাঁটানো। ঘাড়ের অংশকে ভরকেন্দ্র করে স্কেলটি ডানদিকে এক মিটার ও বাঁ দিকে এক মিটার বেরিয়ে রয়েছে। ক’দিন আগে এক যুবতীকে ওই টুপি পরে হাঁটতে দেখা যায় প্যারিসের রাস্তায়। স্কেলের উপর লেখা, ‘এটি এক মিটারের টুপি। দয়াকরে সামাজিক দূরত্ববিধিকে সম্মান দিন।’ চীনের স্কুলেও খুদে পড়ুয়াদের দূরত্ববিধি মানাতে অতিকায় টুপির ব্যবহার শুরু হয়েছে। টুপির দু’দিকে এক মিটার বিশিষ্ট দু’টি শিং। ইয়াংঝেং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই টুপি পরে ক্লাস করতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের।