কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঠিক যখন চীন লাদাখে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে মরিয়া, ঠিক তখনই নেপাল তিন ভারতীয় এলাকাকে নিজের অংশ হিসেবে দাবি করে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে। নেপালের এই রণকৌশল রীতিমতো পরিকল্পিত বলেই মনে করছে ভারত। বস্তুত চীন নিজের আগ্রাসনের পাশাপাশি একদিকে নেপাল এবং অন্যদিকে পাকিস্তানকে দিয়ে ভারতের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে। চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দেওয়া, ভারতের সঙ্গে প্রতিটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরই সম্পর্ক তিক্ত। আজ নেপালের সংসদে এই বিল পেশ হওয়ার পরই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যেও কথা হয়।
গত বুধবারই নেপাল সংসদে সংসদে ওই বিল আনার কথা ছিল। কিন্তু বিল পেশ হওয়ার আগে প্রধান বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা বিলের প্রতিপাদ্য আরও খুঁটিয়ে দেখতে চায়। তাই কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক। গতকালই নেপাল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ওই বিলকে তারা সমর্থন করবে। সেইমতো আজ নেপালের সংসদে বিলটি পেশ করা হয়েছে। যেহেতু এটি সংবিধান সংশোধনী বিল, তাই এটিকে পাশ করাতে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন দরকার। বিরোধীদের পাশে পেয়ে নেপাল সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি একপ্রকার নিশ্চিন্ত। উল্লেখ্য, গত দু’সপ্তাহ ধরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি লাগাতার ভারত বিরোধী বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। নেপালে চলছে টানা ভারত বিরোধী প্রচারও। নেপালের এরকম চড়া ভারতবিরোধী মনোভাব আগে কখনও দেখা যায়নি। বিশেষ করে পরিকাঠামো নির্মাণ থেকে রেলপথ সম্প্রসারণে ভারত নেপালকে যথেষ্ট সাহায্য করছে। নেপালের সঙ্গে ভারতের একঝাঁক বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, মহাকাশ গবেষণা এবং পরিকাঠামো সহায়তার চুক্তিও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আমাদের তিনটি এলাকাকে নেপালের সরকারি মানচিত্রে স্থান দেওয়ার উদ্যোগ, ভারত কোনও অবস্থাতেই মেনে নিতে পারে না। দু’পক্ষই ১৮১৫ সালের একটি চুক্তির ভিত্তিতে এই দাবি করেছে। এই দাবি ও পাল্টা দাবির ভরকেন্দ্র হচ্ছে কালিনদী। এই নদীর পূর্বাংশ নেপালের দিকে এবং পশ্চিমপ্রান্ত ভারতের অংশে। এই কালিনদীকে ঘিরেই সীমান্ত সমস্যার শুরু। সেই সমস্যাই এখন তীব্র আকার নিতে চলেছে চীনের প্রচ্ছন্ন উস্কানিতে। ভারতের আশঙ্কা সংসদে বিল পাশ করেই নেপাল লিপুলেখ অঞ্চলে ভারতের সড়ক নির্মাণ বন্ধ করার জন্য সেনা মোতায়েন পর্যন্ত করতে পারে।