কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বেয়াড়া কোভিডকে জব্দ করতে টিকা তৈরির তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বজুড়ে। প্রায় একশোরও বেশি প্রকল্প গ্রহণ করছে নামজাদা বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সাফল্যের মুখ দেখেননি কেউই। তার মাঝেই সংক্রণের হার কমলে তাদের পুরো চেষ্টাটাই মাঠে মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনেকা। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থার অন্যতম গবেষক পাস্কেল সরিয়ট বলেছেন, ‘এমনিতেই কোভিড মারণ ভাইরাসের জিনগত চরিত্র বুঝে ওঠা দায়। তার উপর বেশকিছু দেশে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। ইউরোপ, আমেরিকা, ব্রিটেনে প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে। এটাই আমাদের ভীষণ ভাবাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন, আমরা সময়ের বিপরীত দিকে হাঁটছি। সংক্রমণ কমতে থাকলে আবিষ্কৃত টিকার পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
তবে এখনও আশার কথা যেটা, তা হল রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল সহ বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। টিকার সাফল্য প্রমাণে (আবিষ্কারের শেষ পর্যায়) তখন ওইসব দেশগুলিকে বেছে নেবেন বিজ্ঞানীরা। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচার্স-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান গবেষক পল স্টোফেলস। তিনি বলেছেন, ‘আশা করি, আমাদের গবেষণা
এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে উত্তরের দেশগুলিতে টিকার কার্যকারিতা প্রমাণে সক্ষম হব। নিতান্ত না হলে তখন দক্ষিণের দেশগুলিকে নিয়ে ভাবতে হবে।’ জানা গিয়েছে, কোভিডের টিকা আবিষ্কারে ১২টিরও বেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে অ্যাস্ট্রা। সেই তালিকায় রয়েছে
জনসন অ্যান্ড জনসন, গ্ল্যাক্সো, ফাইজার প্রভৃতি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও এই সংস্থার ভ্যাকসিন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রকল্পটি সফল করতে মোটা অঙ্কের টাকাও ঢেলেছে অ্যাস্ট্রা। টিকা আবিষ্কারের চূড়ান্ত সাফল্য নিয়েও আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।