বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
গত মার্চ মাসেই এই পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। করোনা বিশ্বজোড়া মহামারী ঘোষণা হতেই ভাইরাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, তথ্য ও পেটেন্টের জন্য কেবলমাত্র একটা কেন্দ্র বা সংস্থা গড়ার পক্ষে আওয়াজ ওঠে। তারপরে শুক্রবার হু এবং ৩৭টি দেশ তার পক্ষে একজোট হয়ে সওয়াল করেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে উন্নয়নশীল দেশ। প্রস্তাবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিড-১৯ টেকনোলজি অ্যাক্সেস পুল’। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকেরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেও ভ্রু কুঁচকেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনস। তাদের প্রশ্ন, মেধাস্বত্বকে যদি একছাতার তলায় আনা হয় তাহলে সমস্ত দেশে ওষুধ পৌঁছনোর উদ্যোগ কি ফলপ্রসূ হবে? গোটা বিশ্ব জুড়ে ১০০টিরও বেশি সংস্থা করোনার ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণা করছে। এবং বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি তাদের তহবিল প্রদান করছে। সুতরাং প্রতিষেধক একবার আবিষ্কার হয়ে গেলেই ধনী দেশগুলি তা ছিনিয়ে নেবে। বঞ্চিত হবে বাকি বিশ্ব। আর তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষেধক তৈরির সেই গবেষণা কাজে অন্য দেশগুলিকেও স্বেচ্ছায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। হু বলেছে, কোনও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পেটেন্টের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে জনগণকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কোস্টা রিকা প্রেসিডেন্ট কার্লোস আলভারাডো বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার ওষুধ, ভ্যাকসিন, পরীক্ষা কিট এবং অন্যান্য সরঞ্জাম জনস্বার্থে বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য হতে হবে।