দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। করোনা সংক্রমণের মধ্যে ইমেল ব্যালটে ভোটগ্রহণের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে আমেরিকার একাধিক প্রদেশ। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প ট্যুইট করে বলেন, মেলে পাঠানো ব্যালটে কারচুপি হতে পারে। ওই ট্যুইটের নীচেই ‘ফ্যাক্ট চেক’ লেবেল সেঁটে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিতর্কিত ট্যুইট সম্পর্কে বিভ্রান্তি কাটাতে চলতি মাস থেকে ‘ফ্যাক্ট চেক’ বা তথ্য যাচাইয়ের নতুন লেবেল চালু করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। এরপরেই ট্যুইটার বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে অভিযোগ করে সংস্থার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। সেইমতো বৃহস্পতিবার এগজিকিউটিভ অর্ডার তথা প্রশাসনিক নির্দেশিকায় সই করেন তিনি। ওভাল অফিসে ওই নির্দেশিকায় সই করার আগে আগে ট্রাম্প বলেন, ‘বর্তমানে ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সাংঘাতিক বর্মের আড়ালে রয়েছে। যদিও, সেই তাদের রক্ষাকবচ পাওয়ার কথা নয়। আমরা এতে বিরক্ত। এটা একেবারেই অনৈতিক। এই নির্দেশিকার ফলে, সংবিধানের ২৩০ নম্বর ধারা নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন।’ পাশাপাশি, কোনও পক্ষপাতমূলক রাজনৈতিক মন্তব্যের জন্য ফেডারেল ট্রেড কমিশনের কাছে অভিযোগও জানানো যেতে পারে। যাকে হোয়াইট হাউস তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে। এদিকে, বৃহস্পতিবার চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের দু’টি ট্যুইটে ‘গেট দ্য ফ্যাক্টস্ অ্যাবাউট কোভিড-১৯’ ট্যাগ ব্যবহার করেছে ট্যুইটার। ওই ট্যুইটে চীনা মুখাপাত্রের দাবি ছিল, করোনা ভাইরাসের উত্পত্তি আমেরিকাতেই। এবং সেখানকার সেনাবাহিনীই চীনে এই ভাইরাসের আমদানি করেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এহেন পদক্ষেপে ব্যাপক ক্ষুব্দ সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। এই মর্মে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা।