রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কোভিড নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ আমেরিকার এই ছোট্ট দেশে লকডাউন চলছে। জুনের শেষ পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করার কোনও প্রশ্ন নেই বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পেরুর সরকার। তা সত্বেও কোভিডের সংক্রমণের থাবা ক্রমেই বাড়ছে। হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, পেরুতে এখন পর্যন্ত এক লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। অথচ, ট্যান্টারা শহরে লকডাউন কার্যকর করার ব্যপারে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই মেয়র টোরেসের। লকডাউন মানছেন না নিজেও।
২৫ মে রাতের ঘটনা। লকডাউন-বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফিরছিলেন টোরেস। সঙ্গে ছিলেন একগাদা বন্ধু-বান্ধব। পুলিস তাড়া করতেই টোরেস রাস্তার পাশে রাখা একটি কফিনে শুয়ে পড়েন। তাঁর চোখ বন্ধ। দেহ নিথর। কিন্তু মুখ থেকে মাস্কটাই খুলতে ভুলে গিয়েছেন তিনি। পেরুর সংবাদপত্র ‘ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড’ টোরেসের এই নাটকীয় মুহূর্তের যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কফিনের ভিতর সটান শুয়ে রয়েছেন টোরেস। তাঁর মুখে মাস্ক বাঁধা। টোরেসের বন্ধুরাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঠের বাক্সের আড়ালে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে পুলিসের হাত থেকে কেউই বাঁচতে পারেননি। টোরেস সহ তাঁর বন্ধুদের আটক করে স্থানীয় থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে ‘ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড’-এর খবর। মেয়রের এই কীর্তি ফাঁস হতেই রে রে করে ওঠেন শহরবাসী। টোরেসের ছবি ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়ও। নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হতে থাকেন তিনি।