বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
আমেরিকার ওয়াল্টার রিড আর্মি ইনস্টিটিউট অব রিসার্চের অধীনে সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত গবেষণা চালিয়ে আসছে সেন্টার ফর ইনফেকশন ডিজিজ। প্রতিষ্ঠানের অন্যতম গবেষক তথা ডিরেক্টর ডঃ নেলসন মাইকেল বলেছেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা তৈরি সম্ভব। বানরের দেহে প্রটোটাইপ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে যে দিশা পাওয়া গিয়েছে সেটি মানবদেহেও কাজ করতে সক্ষম হবে।’
কোভিডের হানাদারি রুখতে এখন রাতদিন এক ফেলছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত টিকা আবিষ্কারের একশোটিরও বেশি প্রকল্প চলছে বিশ্বব্যাপী। সেগুলির মধ্যে মাত্র ন’টি প্রকল্পের মাধ্যমে মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলে সর্বশেষ খবর। কিন্তু সেই পরীক্ষার কার্যকারিতা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন গবেষকরা। ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েও দ্বিধায় রয়েছেন তাঁরা। তার চেয়েও বিজ্ঞানীদের মাথা ব্যাথার বড় কারণ হল কোভিডের জাতিগত চরিত্র। ভৌগোলিক অবস্থা ও আবহাওয়ার তারতম্যে এই মারণ ভাইরাসের প্রোটিনের বিভিন্ন ধারা (স্ট্রেন) বদলাতে থাকে। ফলে একটি কিংবা দু’টি স্ট্রেনের বাড়বাড়ন্ত রুখতে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কার্যকর হলেও অন্যান্য স্ট্রেনের উপর সে প্রভাব খাটাতে পারছে না। কিংবা অ্যান্ডিবডি তৈরি করতে পারছে না। বানরের দেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও এই সমস্যার হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি বোরচ ও তাঁর সহকর্মীরা। তবে তাঁরা নিশ্চিত গবেষণার পরবর্তী পর্যায়ে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কারণ, সুস্থ হয়ে ওঠা বানরদের নাসারন্ধ্রে ৩৫দিন পর ফের করোনা ভাইরাস স্প্রে করা হয়। কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর বোরচ দেখতে পান বানরদের নাকে সামান্য ক্ষত হয়েছে। তারও কিছুদিন পর তিনি লক্ষ্য করেন, সেই ক্ষত আর নেই। বরোচ জানিয়েছেন, এটা প্রমাণ করে যে, বানরদের দেহে নিরপেক্ষ অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে। এবং সেটি কোভিডের প্রজনন ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। মানুষের শরীরও এই নিরপেক্ষ অ্যান্ডিবডি তৈরি করতে সক্ষম।