পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে ‘বন্দে ভারত’ প্রকল্প চালু করে মোদি সরকার। তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ৯৮টি দেশ থেকে ভারতে ফিরতে চেয়ে নাম নথিভুক্ত করেছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার জন। পর্যায়ক্রমে তাঁদের ফেরানোর প্রক্রিয়াও চলছে। সেই তালিকায় রামপুরের বাসিন্দা আমিরও ছিলেন। বছর ছ’য়েক আগে প্রোডাক্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে দুবাইয়ের একটি নামী সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রামপুরের বাড়িতে মা ছিলেন একা। মাস কয়েক আগে তাঁর মায়ের কঠিন অসুখ ধরা পড়ে। সেই খবর পাওয়ামাত্রই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির। এরই মধ্যে কোভিডের হানায় সবকিছুই বানচাল হয়ে যায়।
বর্তমানে দিল্লির একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন আমির। সেখান থেকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘দুবাই থেকে টানা দু’মাস ধরে বাড়ি ফেরার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। শেষে কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৩ মে দিল্লিতে ফিরি। নিয়ম অনুযায়ী আমার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক ছিল। শনিবার আমার মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারি।’ মায়ের শেষকৃত্যে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দরবারও করেছিলেন আমির। কিন্তু কোনওমতেই কোয়ারেন্টাইন থেকে তাঁকে ছাড়া হবে না বলে প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। কাঁদতে কাঁদতে আমির বলছিলেন, ‘মায়ের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে যাওয়ার আবেদন করেছিলাম। সবরকমের সাবধানতা অবলম্বন করেই যাব বলেছিলাম। কিন্তু দিল্লি প্রশাসন আমাকে সেই অনুমতি দেয়নি। মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ছাড়পত্রও মেলেনি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।’