ক্যানবেরা, ২৬ মে: এবার অস্ট্রেলিয়ায় মানব দেহে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করল মার্কিন বায়োটেকনলজি কোম্পানি নোভাভ্যাক্স। প্রথম দফায় ১৩১ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই পরীক্ষা করা হয়। সংস্থার রিসার্চ বিভাগের প্রধান ডাঃ গ্রেগরি গ্লেন জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে কতটা সক্ষম, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছে বহু সংস্থা। এখনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ পাওয়া না গেলেও পরীক্ষা প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে বলে বহু সংস্থাই দাবি করেছে। সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন তৈরিতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যাতে একটা না একটা পদ্ধতি কার্যকর হয়। নোভাভ্যাক্সের সদর দপ্তর মারল্যান্ড থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে ডাঃ গ্লেন বলেন, ‘আমরাও সমান্তরালভাবে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি, চলতি বছরের শেষেই আমরা কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। তিনি জানান, প্রাণীদের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে অল্প মাত্রায় এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করলেই তা কার্যকর হচ্ছে। ডাঃ গ্লেন জানান, চলতি বছরে ১০ কোটি ও আগামী বছরে ১৫০ কোটি ডোজ তৈরি করতে সক্ষম হবে নোভাভ্যাক্স। এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে এনভিএক্স-কোভ২৩৭৩। নোভাভ্যাক্সের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে মানব দেহের উপর পরীক্ষার ফল জুলাই নাগাদ মিলবে। এরপর দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার মানুষের উপর এই প্রতিষেধকের পরীক্ষা হবে।
ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে কতগুলি পদ্ধতি নেওয়া হয়। কোনও ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের প্রোটিনের জেনেটিক কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ আবার ক্ষতিকর নয়, এমন ভাইরাস ব্যবহার করে প্রোটিনের
হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নোভাভ্যাক্স অবশ্য একটু অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তারা করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের কপি তৈরি করছে। একে বলা হচ্ছে, রিকম্বিট্যান্ট ভ্যাকসিন।