কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গতকাল ৯৯ জন যাত্রী নিয়ে জিন্না আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি উড়ান। মারা যান ৯৭ জনই যাত্রী। জুবেইর ও মাসুদ বিমান দুর্ঘটনার দুই জীবিত প্রত্যক্ষদর্শী। জুবেইর এদিন দুর্ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলছিলেন, ‘খুব সহজভাবেই আমাদের বিমানটি অবতরণ করছিল। পাইলটের ঘোষণা মতো আমরা সকলেই সিট বেল্টও পরে নিয়েছি। নামতে নামতে আচমকা একটা ঝাঁকুনি। মনে হল বিমানটি এক চক্কর ঘুরে গেল। আমাদের মাথাও তখন বনবন করে ঘুরছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটি আবারও উড়তে শুরু করেছে। খুব সম্ভবত ১০ বা ১৫ মিনিট পর পাইলট ফের ঘোষণা করলেন, ‘এবার আমরা ল্যান্ড করছি’। তাঁর মুখের কথা হয়তো শেষ হয়নি। আবারও একবার পাক খেয়ে গেল বিমানটি।’ মুহূর্তের মধ্যে আর একটি পাক খেয়ে মালির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ভেঙে পড়েছিল সেটি। জুবেইয়ের কথায়, ‘বিমানটি দ্বিতীয়বার পাক খাওয়ার পরই আমি চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলাম। তবে টের পাচ্ছি আকাশে তখনও টাল খাচ্ছে বিমানটি। পরক্ষণেই কানে এল একটা বিকট আওয়াজ। চোখ খুলে দেখি আমার চারিদিকে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। কোনওরকমে সিটবেল্ট খুলে ১০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিই।’
পরিজনদের মৃত্যুর খবরে কান্না। ছবি: এএফপি