গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাতে বিমান সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৯১ জন যাত্রী এবং আটজন বিমানকর্মীকে নিয়ে লাহোর থেকে করাচি আসছিল পিআইএ এয়ারবাস এ-৩২০। অবতরণের এক মিনিট আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপরেই সেটি জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাস্থলটি জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। যদিও আগে বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিমানটিতে যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ১০৭ জন ছিলেন।
বিমানটির পাইলট ছিলেন সাজ্জাদ গুল। পিআইএর চেয়ারম্যান আরশাদ মালিক জানিয়েছেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে স্থানীয় সময় দুপুর ২ টো ৩৭ মিনিট নাগাদ শেষ যোগাযোগ হলে তিনি বলেছিলেন বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপরেই রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর একটি মোবাইল টাওয়ারে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা মডেল কলোনির এক বাসিন্দা নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায় ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। এদিনই ইদ উপলক্ষে আজ থেকে পাঁচ দিন দেশজুড়ে ছুটি ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এদিনই এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গভীর দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া মৃতদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীকে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ৭৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার পরেই করাচির সমস্ত বড় হাসপাতালগুলিতে হেলথ ইমারজেন্সি জারি করেছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণমন্ত্রী। ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বরে এটিআর-৪২ এয়ারক্রাফট ধ্বংসের পর পাকিস্তানের ইতিহাসে এটাই বৃহত্তম বিমান দুর্ঘটনা।