বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নেপালের নয়া মানচিত্র নিয়ে এমনিতেই দু’দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। তারমধ্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিল বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সম্প্রতি মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রা সুগম করতে ভারত ৮০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছে ভারত। তা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছিল নেপাল। ওই সড়ককে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলে উল্লেখ করে কাঠমাণ্ডু। তাদের অভিযোগ, নেপালের সীমানার মধ্যে ওই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, নিজেদের ভূখণ্ডেই ওই রাস্তা তৈরি হয়েছে।
এই ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধ শুরু হয়। তারপরই ভারত ভূখণ্ডের অংশ লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের বলে দাবি করে কেপি ওলির দেশ। নতুন একটি রাজনৈতিক মানচিত্র তৈরির করার উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল। ওলি সরকার জানিয়ে দিয়েছে, নয়া মানচিত্রে বিতর্কিত তিনটি অঞ্চল জায়গা পেতে চলেছে। নেপাল মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় অনুমোদনও দিয়েছে। শীঘ্রই নয়া মানচিত্রটি প্রকাশিত হবে বলে জানিয়ে দেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপকুমার গাওয়ালি।
কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা নিয়ে অনেকদিন ধরেই ভারত ও নেপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ভারতীয় এই ভূখণ্ডকে অনেকদিন ধরেই নিজেদের অংশ বলে দাবি করছে নেপাল। এবার তা নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাই না, দেবও না। খুব শীঘ্রই ওই অঞ্চলগুলি যাতে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য কূটনৈতিক উপায়ে চেষ্টা চালাচ্ছি। এতে কে কী ভাবল, তাতে আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। যে কোনও মূল্যে ওই এলাকা আমরা দখল করবই। পাশাপাশি, ওই তিনটি এলাকাকে নেপালে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করার কথাও জানিয়েছেন ওলি।
উল্লেখ্য, নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১,৮০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরেই কালাপানি ও লিপুলেখকে ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখিয়েছিল নয়াদিল্লি। এদিকে, ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির ওপর ভিত্তি করে লিপুলেখ পাসের দাবি তুলেছে নেপাল। পাশাপাশি, কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিরও দাবি তুলেছে কাঠমাণ্ডু। যদিও ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি।