ওয়াশিংটন, ১২ মে: বিশ্বজুড়ে মারণ করোনার সংক্রমণের জন্য ঠারেঠোরে চীনের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে আমেরিকা। এবার চীনের বিরুদ্ধে সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ আনল ট্রাম্প প্রশাসন। এফবিআই এবং সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোভিডের ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া সাইবার জালিয়াতদের মাধ্যমে চুরি করতে পারে চীন। সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসে এমন আশঙ্কার কথাই প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে সরকারি তত্ত্বাবধানে এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য নিরন্তর গবেষণা চলছে। হ্যাকাররা এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই সরকারিভাবে সতর্কবার্তা প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে এফবিআই এবং ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির। মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিযোগ, এই হ্যাকারদের পিছনে চীন সরকারের মদত রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। বেজিং অবশ্য এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ, চীন বরাবরই সাইবার জালিয়াতি বা সন্ত্রাসের বিরোধী। তিনি জানিয়েছেন, ‘করোনার চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে চীন অগ্রগণ্য। তাই, কোনও প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের গুজব ছড়ানো একেবারেই অনৈতিক। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
শুধু চীন নয়, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মদতে সক্রিয় থাকা হ্যাকারদের সম্পর্কেও সতর্ক থাকা উচিত বলেই মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, শীঘ্রই পেন্টাগনের সাইবার কমান্ড এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির তরফে সাইবার যুদ্ধ শুরু করা হবে। এসব হল তারই ভূমিকা মাত্র। গত সপ্তাহেই ব্রিটেন এবং আমেরিকার তরফে এক যৌথ বার্তায় ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত এবং করোনা নিয়ে গবেষণায় জড়িত সকলকেই সাইবার জালিয়াতদের থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ব্রিটেন এবং আমেরিকার সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে নেমে বিপুল সংখ্যক ‘পাসওয়ার্ড স্প্রেয়িং’ (অ্যাকাউন্ট হ্যাকের বিশেষ কৌশল) তাদের নজরে এসেছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।