কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মালিয়ার আইনজীবীরাও দাবি করেছিলেন যে, ভারতের আদালতে যেহেতু ঋণ পরিশোধের জন্য একটা বোঝাপড়া বা বন্দোবস্তের মামলা চলছে, তখন লন্ডন হাইকোর্টে তরফে তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা উচিত হবে না। কারণ, সেক্ষেত্রে মালিয়ার কাছে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ শোধ করার সুযোগ থাকবে না। গত বছরই লন্ডন হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় মালিয়ার আইনজীবী দলের নেতৃত্বে থাকা ব্যারিস্টার ফিলিপ মার্শাল বলেছিলেন, ‘ভারতে ইডির হস্তক্ষেপের জন্যই মালিয়ার পক্ষে ব্যাঙ্কগুলিকে বকেয়া মেটানো সম্ভব হয়নি। ঋণখেলাপের জন্য ব্যাঙ্কগুলি চাইছে মালিয়াকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হোক। এক্ষেত্রে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যাতে মালিয়া ঋণ শোধ করতে না পারেন।’ এর আগে লন্ডন হাইকোর্ট মালিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
গত বছর শুনানির সময় মালিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁর সিংহভাগ সম্পত্তিই ভারতে রয়েছে। আর সামান্য সম্পত্তি রয়েছে দেশের বাইরে। ব্যাঙ্কগুলি কিন্তু তাঁর এই দাবি মেনে নেয়নি। ব্যাঙ্কগুলির তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, ফ্রান্সে মালিয়ার একটি ভিলা রয়েছে। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে তাঁর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে তাঁর একটি ট্রাস্ট রয়েছে। এছাড়া মাল্টায় রয়েছে ইন্ডিয়ান এমপ্রেস সুপারইয়ট। ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির তরফে সওয়াল করতে গিয়ে ব্যারিস্টার মার্সিয়া শেকারডেমিয়ান বলেছিলেন, ‘প্রাপ্য অর্থের কম নিতে যাব কেন?’ সেই সূত্র ধরেই বিচারপতি বলেন, মালিয়াকে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হলে তাতে ব্যাঙ্কগুলিই লাভবান হবে। কারণ, বকেয়া অর্থ উদ্ধারই এখানে মুখ্য। তাই, মালিয়াকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পথে এখনই হাঁটল না লন্ডন হাইকোর্ট।