পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনায় মৃতের সংখ্যার নিরিখে সবার উপরে রয়েছে ইতালি। সেখানে বুধবার বিকেল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ১২৭ জনের। আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার। এরপরেই রয়েছে স্পেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৭৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। সব মিলিয়ে সেদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৯০ এবং ১৪ হাজার ৫৫৫। মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে ফ্রান্সেও। সেখানে হাসপাতালে ৭ হাজার ৯১ জন ও বৃদ্ধাশ্রমে ৩ হাজার ২৩৭ জন মারা গিয়েছে। এছাড়া আরও ৭ হাজার ১৩১ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। দেশের মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্যকর্তা জেরমে সালোমন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জাপানে রাজধানী টোকিও সহ ওসাকা ও আরও পাঁচটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বুধবারই ছিল প্রথম দিন। কিন্তু, টোকিওতে প্রচুর মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারকেও কঠোর হতে হবে। জাপানে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ২৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। এদিকে, ব্রিটেনে একদিনে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সার্বিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ২০০তে পৌঁছেছে। এছাড়া ৫৫ হাজার ২৪২ জনের শরীরে মারণ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। অক্সিজেনের দরকার পড়েছে। তবে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিদেশ সচিব ডোমেনিক রাব সরকারি কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল। শেষ ২৪ ঘন্টায় ইমরান খানের দেশে ২০৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে ৪ জন। সব মিলিয়ে ৫৮ জন এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে। তবে চেক রিপাবলিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারও সেদেশে ১৯৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইরান সরকারও।