লন্ডন, ৭ এপ্রিল (পিটিআই): আইসিইউতে অক্সিজেনের সাপোর্টে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়নি। বরিস জনসনের জায়গায় সাময়িক দায়িত্ব পালন করছেন ফরেন সেক্রেটারি ডমিনিক রাব। জনসনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা। ৫৫ বছরের বরিস জনসন ভর্তি আছেন সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে। করোনা সংক্রমণের কারণে রবিবার রাতে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে সরানো হয়। ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার মাইকেল গভ মঙ্গলবার সকালে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি। তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে এই জন্য যাতে চিকিৎসকরা তাঁর সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে পারেন। করোনা আক্রান্ত হলেও এতদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ক্যাবিনেট সামলাচ্ছিলেন জনসন। তবে সোমবার তিনি ফরেন সেক্রেটারি ডমিনিক রাবকে ওই দায়িত্ব দেন। এদিনই ক্যাবিনেট মিটিং করেন রাব। যদিও রাব বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে এদিন রাব বলেন, সরকারের কাজ জারি থাকবে। সেন্ট টমাস হাসপাতালের একদল সেরা চিকিৎসকের নিরাপদ হাতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করতে তাঁর নির্দেশিত পথে চলা হবে। হাসপাতালের বেড থেকে সোমবার সকালে জনসন জানান, তিনি ভালো আছেন। হাসপাতালে থাকলেও করোনার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের লড়াই দেখতে তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রমুখ। ট্যুইটে মোদি লিখেছেন, আশা করি আপনি দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন এবং পুরনো অবস্থায় ফিরে যাবেন। জনসনকে আমেরিকা ও তাঁর ভালো বন্ধু উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা তাঁর দ্রুত সুস্থতা চাইছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকক্র বলেছেন, এই কঠিন সময়ে জনসন, তাঁর পরিবার ও ব্রিটিশদের পাশে আছি। জনসনের মন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক লিখেছেন, আমি জানি তিনি সেরা চিকিৎসাই পাচ্ছেন। আরও শক্তিশালী হয়ে তিনি এই বিপদ কাটিয়ে উঠবেন।
ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জনসন সরকারের প্রাথমিক ঢিলেঢালা মনোভাব এর জন্য দায়ী।লকডাউনে যেতে দেরি করেছে সরকার। এমনকী স্বয়ং জনসন বলেছিলেন হ্যান্ডশেক তিনি করবেন। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নাজেহাল সরকার। প্রধানমন্ত্রী জনসন আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে। মোট আক্রান্ত ৫১ হাজার। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৭৩। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে রবিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি ব্রিটিশদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।