বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
টেক্সাসের রাইস বিশ্ববিদ্যালয় ও কানাডার মেট্রিক টেকনোলজিস হাত মিলিয়ে এই ভেন্টিলেশনে ইউনিটটি গড়ে তুলেছে। এই ব্যাগ ভালভ মাস্ক তৈরির খরচ ৩০০ ডলারের কম। এর মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় বিশাল সুবিধা মিলবে। এই ভেন্টিলেটর যাতে অনলাইনে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হতে ধরেই এই ভেন্টিলেটর রোগীর সঙ্গে এদিক ওদিক নিয়ে যেতে পারবেন। শ্বাসের সমস্যা থাকা রোগীদের ফুসফুসে বাতাস পৌঁছে দেওয়া যাবে এই যন্ত্রটির মাধ্যমে। এই ব্যাগ ভালভ মাস্কে হাতের চাপ দিয়ে বাতাস পৌঁছে দেওয়া যাবে রোগীর ফুসফুসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা গবেষণা দলটির সদস্য ওয়েটার গ্রিন বলেন, এটি স্বয়ংক্রিয় ও ইলেকট্রিক চালিত। যে কেউ এটি চালাতে পারবেন। কোনও হয়রানি নেই। তবে এটি গুরুতর অসুস্থ মানুষের জন্য নয়। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থাকলে ভালো কাজ দেবে এটি। যেসব রোগী গুরুতর অবস্থা কাটিয়ে উঠে, তাঁদের ভেন্টিলেটর থেকে বের করে এই মাস্কের সাহায্যে রাখা যাবে। ফলে অন্য গুরুতর রোগীর ভেন্টিলেটর পাওয়ার সুযোগ বাড়বে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা গেন চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।
এই নতুন যন্ত্র ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নজরে এসেছে। তারা এটিকে ভবিষ্যতে নৌবাহিনী জন্য ব্যবহার করতে পারে বলে খবর। গবেষণা দলটির দাবি, এই ছোট যন্ত্রের সুবিধা অনেক বড়। রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক রোহিত মালিয়া বলেন, এর মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতির মঙ্গল হবে। আমরা খুব দ্রুত কাজ করছি। আমরা সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাছি। দেখা যাক কত দূর যাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দলটিকে এধরনের যন্ত্র তৈরির জন্য দু’বছর আগে মালিয়া উৎসাহ দিয়েছেন। থাইল্যান্ডে থাকাকালীন এই ভাবনা তাঁর মাথায় এসেছিল।