ঢাকা, ৩ এপ্রিল (এপি): কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির নিয়ে কপালের ভাঁজ ক্রমেই চওড়া হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের। বিশ্বের বৃহত্তম উদ্বাস্তু শিবির এটি। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। বাংলাদেশের সার্বিক জনঘনত্বের নিরিখে চারগুণ বেশি। প্লাস্টিকের ছাউনিতে কোনওরকম মাথা গুঁজে থাকেন মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমরা। ফলে কোভিড-১৯ ভাইরাস এই শিবিরে একবার হানা দিলে তাকে রোধ করা সাধ্যের বাইরে চলে যাবে বলেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা শুক্রবার সতর্ক করে দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারকে। তবে এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের এই আশ্রয় শিবিরে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর নেই। তা হলেও উদ্বাস্তু শিবির সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নির্দেশিকা মেনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জন। মারা গিয়েছেন ছ’জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক বৃদ্ধা কক্সবাজার সংলগ্ন বাসিন্দা। তাতেই ঘুম ছুটেছে ঢাকা প্রশাসনের।
বাংলাদেশের উদ্বাস্তু-ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ সামসুদ্দোজা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ৩৪টি শিবির নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছি। আগাম সতর্কতামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সিনিয়র ডিরেক্টর রাসেল উফ্ বলেছেন, ‘কক্সবাজারের শিবিরগুলিতে গাদাগাদি করে মানুষ বাস করেন। পরিবার পিছু সদস্য সংখ্যাও প্রচুর। ফলে তাঁদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার।’