রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মূলত, দু’টি ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন তাঁরা। এক, করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি। দুই, একের পর এক সামনে আসছে আমেরিকার মতো উন্নত দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর গলদ। পরিস্থিতি এমনই যে, বিশেষজ্ঞরাই এখন কার্যত ‘শিক্ষানবিশ’-এর দলে! করোনা-যুদ্ধের প্রতিটা মুহূর্তই তাঁদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। আর সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে গিয়ে হাতে রাখতে হচ্ছে তাজা মেডিক্যাল জার্নাল। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে খুঁজে চলেছেন, এই মারণ ভাইরাসের নাড়ি-নক্ষত্র। তারমধ্যেই চলছে যুদ্ধজয়ের কৌশল বিনিময়। চলছে টেলিমেডিসিন, ভিডিও কনফারেন্স। কিন্তু করোনাকে ঘায়েল করার কোনও কৌশলেই এঁটে উঠতে পারছেন না চিকিৎসকরা। দৃশ্যতই তাঁরা অসহায়, দিশেহারা। চোখের সামনে দেখতে হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। নিরাপদে নেই সহযোদ্ধারও। আমেরিকার বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তা বলে হাত গুটিয়ে বসে নেই ড্যানিয়াল ব্রেনাররা। মেরিল্যান্ডের জোন্স হপকিন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রেনার। নাওয়া-খাওয়া ভুলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন জরুরি বিভাগে। লড়াই যত তীব্র হচ্ছে, ততই অভিজ্ঞতার পাহাড় জমছে ব্রেনারদের মস্তিস্কে। মেরিল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দু’ হাজার। মারা গিয়েছেন ২৫ জনেরও বেশি। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ব্রেনার বলেন, সর্দি-জ্বর নিয়ে সবাই হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। সবাই বলছেন হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রবল শ্বাসকষ্টে কাহিল। এখনই তাঁদের অক্সিজেন দিতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ারে বেড নেই। নেই পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর মেশিনও। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো সাধারণ সর্দি-জ্বর হয়েছে। তাঁদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করালেই হয়তো হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু পরীক্ষার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত কিটও। সবমিলিয়ে আমরা চরম অসহায়তার মধ্যে পড়েছি। আমাদের এমন স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। ব্রেনার বলছিলেন, করোনা-যুদ্ধে নেমে চিকিৎসা শাস্ত্রের অনেক অজানা দিক খুলে যাচ্ছে। আর সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। মাত্র দু’মাসের মধ্যে নতুন শত্রুর সঙ্গে লড়াই করাটা সহজ কথা নয়। তাই প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন কিছু শিখছি।