কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্যদিকে, ডাক্তার আমির খান জিপি এক ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, ‘এনএইচএস কর্মীদের মেডিক্যাল সরঞ্জামের অভাব মেটাতে সরকারকে অর্থ লগ্নি করতে হবে।’ আপনাদের সুরক্ষার স্বার্থে আমাদের রক্ষা করুন।’ ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলায় এনএইচএস কর্মীদের সাহাযার্থে এক লক্ষ পাউন্ড অর্থদান করেছেন প্রিস্টনের ব্যবসায়ী ইউসেফ ভাইলক। পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় আরও ১০ লক্ষ পাউন্ড সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত এমপি বীরেন্দ্র শর্মা ‘বর্তমান’ পত্রিকাকে বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে আমার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। পরে অবস্থা খারাপ হলে হিলিংডন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন আমি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছি। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে আমার চিকিৎসা করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওঁরা অত্যন্ত চাপে রয়েছেন। দেশবাসীর প্রতি আমার আর্জি, আপনারা ঘরে থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করুন। তা না হলে স্বল্প সংখ্যক মেডিক্যাল কিট নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য করুন।’
তবে সংবাদমাধ্যম শুধু মৃত্যু নিয়েই মাতামাতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ডাঃ টমাস জন। তিনি বলেছেন, ‘৯৮ শতাংশ রোগীর শুধুমাত্র উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। করোনা পজিটিভ রোগী আরোগ্য লাভ করছেন। আর যদি উপসর্গহীন রোগীদের কথা বলেন, তাহলে তাঁদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই সুস্থ হয়ে যাবেন।’ করোনা থেকে নিজের সেরে ওঠার পুরো পর্ব ভিডিও রেকর্ড করেছেন ক্রয়ডন হিন্দু কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মৌর্য প্যাটেল। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তিন দিন পরেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। যদিও, গত ১৪ মার্চ করোনায় প্রাণ হারান তাঁর বাবা।
করোনা নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ানোর জন্য ফেসবুকে আর্জি জানিয়েছেন আর এক ভাইরাস আক্রান্ত অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে তীব্র জ্বরে ভুগছিলাম। সঙ্গে শুকনো কাশি এবং অসম্ভব ক্লান্তি লাগছিল। সবগুলিই করোনার উপসর্গ। ব্রিটেনের সবথেকে ভালো কাজ হল, এই উপসর্গগুলি দেখা দিলেই করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে না। তা হলে করোনা আক্রান্ত হাজার হাজার রোগীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। তবে, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা খুব ভালো কাজ করছেন। অনির্বাণ আরও বলেছেন, ‘করোনার কোনও ওষুধ নেই। একমাত্র ওষুধ হল প্যারাসিটামল। আপনার যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। ব্রিটেনে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হার মাত্র ২ শতাংশ। বাকি ৯৮ শতাংশ ঘরে কঠোরভাবে আইসোলেশনে থেকে এবং প্যারাসিটামল খেয়ে দিব্যি সুস্থ হয়ে উঠছেন। সেক্ষেত্রে শুধু জ্বর এবং দুর্বলতা আপনাকে সহ্য করতে হবে।’