প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
ইতালি আক্রান্তের সংখ্যায় এক লক্ষের সীমানা পার করে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা তালিকাতেও একেবারে উপরে স্থানে রয়েছে তারা। সেখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪২৮ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে ফ্রান্স, স্পেন এবং ব্রিটেনেও। মাত্র এক রাতের ব্যবধানে এই তিন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। স্পেন প্রায় প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৮৪৯ জনের। স্পেনে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১৮৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। তবে সেদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, নতুন করে সংক্রামিত হাওয়ার হার ধীরে ধীরে কমছে। ফ্রান্সে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩,৫২৩ জনের। এদিকে বুধবার তুরস্কের তরফে ইতালি এবং স্পেনে মাস্ক সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আরও রসদ পাঠাতে তৈরি রয়েছে তুরস্ক। অন্যদিকে এদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে রাশিয়াও। ইরানে মৃতের সংখ্যা বুধবার পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮৬।
তবে গবেষকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে চীনের একটি খবর। সেখানে একাধিক উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বর্তমানে চীনে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। হুবেই সহ অন্যান্য প্রদেশে জারি থাকা লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন আক্রান্তরা সামাজিক মেলামেশা শুরু করলে তাঁরা নিজেদের অজান্তেই ফের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, যেহেতু তাদের সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা দেয়নি, তাই তাদের পরীক্ষাও যে করা হবে না সেটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের উপসর্গহীন আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা ঠিক কত, তা জানা যায়নি। তবে, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে অসমর্থিত সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সংখ্যাটা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। যদিও বুধবার চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন দাবি করেছে, সারা দেশে এই ধরনের ১,৫৪১ জন রোগীকে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে রাশিয়ার মূল করোনা চিকিৎসার হাসপাতালের প্রধান ডেনিস প্রস্টেনকোর শরীরেও মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলার খবর পাওয়া গিয়েছে। দিন কয়েক আগে তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ক্রেমলিনের অন্দরে উদ্বেগ বেড়েছে। ইজরায়েল সুরক্ষা বাহিনীর (এইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোচাবি সহ আরো দুই সেনা কর্তা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত বাহিনীর এক কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কোচাবি সহ ওই তিন সেনাকর্তা। ভারতের তিন প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাতেও মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার বাংলাদেশ আরো এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়ায় সেদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। এদিকে পাকিস্তানে বুধবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দু হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে শীঘ্রই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে রেকর্ড করল শ্রীলঙ্কা। গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে ২১ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৩জন।