পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ক’দিন আগে ইরানের করাজ এলাকায় এক ভুক্তভোগী বালককে নিয়ে প্রচার চালায় ইরানের স্বাস্থ্যকর্মীরা। জানা যায়, পাঁচ বছরের ওই বালককে তার বাবা-মা ভাইরাস প্রতিরোধে টক্সিক মিথানল খাইয়েছিলেন। এমনকী, টক্সিক মিথানলে চোবানো মাস্কও পরিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই বালককে সামনে রেখে কাতর আবেদন রাখেন, ‘দয়া করে শিল্পে ব্যবহৃত অ্যালকোহল পান করবেন না। করোনা ভাইরাসকে এভাবে রোধ করা যায় না।’
ইরানের করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ার পরই দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একাধিক ভুয়ো দাওয়াই। অশিক্ষা ও অন্ধবিশ্বাসের কারণে সেগুলি দেদার গ্রহণ করতে থাকেন মানুষ। ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন না মেনে এই সমস্ত আজগুবি টোটকার উপর নির্ভর করতে থাকেন তাঁরা। আর তার জেরেই আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে ইরানে। এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ভুয়ো-দাওয়াইয়ের খেসারত দিতে হয়েছে অনেককেই। ইরানের সরকারি তথ্য বলছে, ভাইরাস রোধে শুধুমাত্র ভুয়ো প্রচারের বলি হয়েছেন ৩০০ জন। আক্রান্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি এক হাজার জন। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ইরানে করোনায় মারা গিয়েছে ২ হাজার ২০০ জন।
পানীয় হিসেবে মদ একেবারে নিষিদ্ধ ইরানে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সেদেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বলা হয়, হুইস্কির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ব্রিটেনের একটি ট্যাবলয়েড কাগজে প্রকাশিত এই খবরটিকে উদ্ধৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ওই টোটকা। পাশাপাশি, অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ড স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কারের পরামর্শের অপব্যাখ্যা করে সেটিকেও মদের বিকল্প হিসেব ব্যবহার করার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে অনুন্নত এলাকা যেমন, দক্ষিণ-পশ্চিমের খুজেস্তান, করাজ এবং ইয়াজদ শহরের প্রচুর মানুষ হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ব্যবহৃত অ্যালকোহলকে করোনা রোধের ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করে। ওসলোর ক্লিনিক্যাল টক্সিকোলজিস্ট ডাঃ নট এরিক হোভদা বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। স্রেফ সচেতনতার অভাবেই টক্সিক মিথানল খেয়ে চলেছেন ইরানের মানুষ। তাতে বিপদ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে।’