বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাসপাতাল তৈরির ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করারও নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর মেশিনের অভাব পূরণে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। ভেন্টিলেটর প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও করে ফেলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় রয়েছে জেনারেল ইলেট্রনিক্স, ফিলিপস, মেডট্রনিক, হ্যামিলটন, রেডমেড সহ প্রভৃতি সংস্থা। ট্রাম্প বলেছেন, ‘করোনা প্রতিরোধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন, তা সর্বশক্তি দিয়ে সম্পূর্ণ করবে সরকার। নোভেল ভাইরাসের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করবে স্বাস্থ্য, অর্থ, বিজ্ঞান-গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রক থেকে শুরু করে সেনা ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।’ শুধু তাই নয়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী মিত্র দেশগুলিকেও ভেন্টিলেটর সরবরাহ করবে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, দেশে এখনও ১০ হাজার ভেন্টিলেটর মজুত রয়েছে। দ্রুত আরও ১০০০ ভেন্টিলেটর তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আজই আমার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কথা হয়েছে। খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়, উনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আশা করি, উনি দ্রুত সেরে উঠবেন। ফোনে কথা বলা সময় জনসন প্রথমেই আমাকে ভেন্টিলেটর পাঠানোর জন্য অনুরোধ করলেন। শুধু ব্রিটেনই নয়, স্পেন, ইতালি, জার্মানি— সকলেরই ভেন্টিলেটর প্রয়োজন। তাই সকলের চাহিদা মেটাতে এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে মিত্র দেশগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আমরা ১০০ দিনের মধ্যে ১ লক্ষ ভেন্টিলেটর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ট্রাম্পকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে কার্গো এয়ারক্র্যাফট সংস্থা বোয়িং। এই মুহূর্তে সংস্থার তিনটি উড়ান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। সংস্থার আরও কয়েকটি উড়ান, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াইয়ে নামানো হবে বলে ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন বোয়িং কর্তা ডেভ কালহন। আমেরিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের। অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই এর পিছনে দায়ী বলে অনেকেই মনে করছেন।