বিএনএ, বারাসত: করোনা আতঙ্কের আবহে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। তবে শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তিনি এই সময় বিদেশ যেতে পারবেন না। ঢাকার নিজ বাসভবনে থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। বুধবার দুপুরে জেল থেকে ছাড়া পান বিএনপি নেত্রী। প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর ৫ বছরেরর সাজা হয়। আদালতে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের তরফে একাধিকবার মুক্তির দাবি জানানো হয়। কিন্ত বাংলাদেশ সরকার ওই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। বেশ কিছুদিন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সম্প্রতি খালেদা জিয়ার ভাই শামিম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার মুক্তি প্রক্রিয়া শেষ করার পর বিকাল সোয়া চারটে নাগাদ খালেদা জিয়া লিফটে করে হুইল চেয়ারে নীচে নেমে আসেন। এই সময় তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও হাসপাতালের নার্সরা ছিলেন। ৪টা ২০ মিনিটে তাঁকে নিয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে রওনা হন। গুলশানে তাঁর বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।