কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব এবং ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক এন্টারপ্রাইজেসের সেক্রেটারি শ্রী শৈলেশের কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় শ্রম সচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, করোনার জেরে বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যা রুখতে গেলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অসংখ্য সংস্থা-প্রতিষ্ঠান বিনা মজুরিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ছুটিতে যেতে বাধ্য করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় শ্রম সচিব জানিয়েছেন, কোনও বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কোনওমতেই কর্মীদের ছাঁটাই করতে পারবে না। এমনকী তাঁদের মজুরিও কমিয়ে দিতে পারবে না। বিশেষ করে যাঁরা ক্যাজুয়াল অথবা চুক্তিভিত্তিক কর্মী, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ বেশি করে মাথায় রাখতে হবে। কোনও কর্মচারী ছুটিতে গেলে তাঁকে পুরো বেতন দিতে হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রম সচিব জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখতে হলে, তার কর্মচারীদের ‘অন ডিউটি’ হিসেবেই দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাডভাইজরি জারি করতে বলেছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক।
এরই পাশাপাশি ১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) আওতাভুক্ত গ্রাহকেরা যাতে সঠিক সময়ে পেনশন পেয়ে যান, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। আজ কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী মহামারির কারণে দেশের একাধিক জায়গায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পেনশন প্রাপকদের যাতে কোনওরকম আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে না হয়, সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করছে সরকার। ইপিএফও জানিয়েছে, সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার সমস্ত আঞ্চলিক কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে ইপিএফ পেনশন প্রাপকদের যাবতীয় কাগজপত্র ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। যাতে চলতি মাসেই সঠিক সময়ে ইপিএস গ্রাহকেরা তাঁদের প্রাপ্য পেনশন পেয়ে যান। বর্তমানে সারা দেশে ইপিএফ পেনশন প্রাপকের সংখ্যা প্রায় ৬৫ লক্ষ।