পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকেই অভিযোগ উঠেছে, নিয়মিত বিবৃতি পেশ করে বাড়তি মৃতের সংখ্যা জানানো ছাড়া চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের আর কোনও কাজ নেই। রোগ প্রতিরোধে যে উদ্যোগ তাদের অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। আর তারই ফলস্বরূপ চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, নিউজিল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, বেলারুস সহ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের নানা দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে করোনা আতঙ্কে ইরানে ৩৪০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন। তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে আর্জি জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আটক ওই মৎস্যজীবীদের মধ্যে বেশিরভাগই গুজরাতের বাসিন্দা। এই মর্মে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ই-মেলে আবেদন করেছেন সে রাজ্যের মন্ত্রী রমন পাটকর। ওই ই-মেলে তিনি বলেন, ‘করোনা আতঙ্কে প্রায় ৩৪০ জন মৎস্যজীবী ইরানের বন্দর-ই-চিরুতে আটকে রয়েছেন। তাঁদের সে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ভারতে ফেরার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন। সেই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করছি।’ পাটকর এও জানান, ‘আটক ৩৪০ জনের মধ্যে বেশিরভাগই গুজরাতের বাসিন্দা। তবে তা ছাড়াও তামিলনাড়ু সহ অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দারাও রয়েছেন।’ পাটকর জানান, আটক মৎস্যজীবীদের মধ্যেই কেউ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং বেলারুশ — এই চার দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর মিলল। নেদারল্যান্ডস এবং লিথুয়ানিয়ায় আক্রান্ত দু’জন সদ্যই ইতালি থেকে ফিরেছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউরোপের মধ্যে ইতালিতে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি। নিউজিল্যান্ডের আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ইরান থেকে ফিরেছেন। বর্তমানে অকল্যান্ড হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এছাড়া শুক্রবারই বেলারুশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি গত সপ্তাহেই আজারবাইজান থেকে বেলারুশে ফিরেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানবাসীর ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ সাময়িক বাতিল করল ভারত
নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): করোনা আতঙ্কের জেরে এবার জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ (বিমানবন্দরে নামামাত্র ভিসার আবেদন) সাময়িক বাতিল করল ভারত। শুক্রবার টোকিওস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এমনটা জানানো হয়েছে। জাপান উপকূলে আটক ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ থেকে বৃহস্পতিবারই ১১৯ ভারতীয় এবং ৫ বিদেশি যাত্রীকে উদ্ধার করেছিল ভারত। তার একদিন পরই ভারতীয় দূতাবাস এই ঘোষণা করল। জানা গিয়েছে, জাপানের ওই জাহাজের ৭০০ জন যাত্রী ছাড়া সে দেশের আরও ১৬০ জন নাগরিক করোনায় আক্রান্ত। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২০২২-এ পৌঁছেছে। কাজেই নিরাপত্তার কারণেই এই দুই দেশের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।