বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তাঁর দাবি অনুযায়ী, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁরা ওই ‘ছোট চাঁদ’-এর উপর ধারাবাহিকভাবে নজর রেখেছিলেন। তাতেই দেখা যাচ্ছে, সেটি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে। গত তিনবছর ধরে এই উপগ্রহটি পৃথিবীর চারিদিক ঘুরছে। তবে এটিকে চাঁদের মতো উপগ্রহ বলা ঠিক নয়। কারণ এটি আদতে একটি গ্রহাণু। যা গত তিনবছর ধরে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। তবে এটা স্থায়ী নয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কিছুদিন পর হয়তো নিজে থেকেই এটি পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করে অন্যদিকে চলে যাবে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীদের দাবি, চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে, তা একটা স্থায়ী অভিকর্ষজ বলের কারণে। কিন্তু, পৃথিবীর সঙ্গে ‘ছোট চাঁদ’-এর মধ্যে এরকম কোনও শক্তি কাজ করে না। সাময়িকভাবে সেটি এক শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সেই শক্তি কম হয়ে গেলেই, সেটি এই কক্ষ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাবে। কিন্তু যেহেতু সেটি বিগত কয়েকবছর ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে, তাই সেটিকে গ্রহাণু নয়, ‘ছোট চাঁদ’ হিসেবে গণ্য করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, গ্রহাণু বলয় থেকে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে আসে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার (এমপিসি) পৃথিবীর সংস্পর্শে আসা এরকম গ্রহাণু থেকে গ্রহ সবের উপরই ধারাবাহিক নজর রাখে। তাদের তথ্য বলছে, পৃথিবীর চারপাশে থাকা প্রায় ১০ লক্ষের বেশি গ্রহাণুর মধ্যে এটি দ্বিতীয় ‘ছোট চাঁদ’।
এর আগে ২০০৬-০৭ সাল নাগাদ এরকমই একটি গ্রহাণু ১৮ মাসের জন্য পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ২০০৬ আরএইচ১২০। তারপর থেকে এটি মাত্র দ্বিতীয় ‘ছোট চাঁদ’ যেটি পৃথিবীর চারপাশে গত তিনবছর ধরে ঘুরছে। এটি গতবারের ‘ছোট চাঁদ’-এর থেকেও বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। বিজ্ঞানী দলের আরও এক সদস্য জানিয়েছেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিমি। কিন্তু, নয়া আবিষ্কৃত ‘ছোট চাঁদ’ আরও বেশি দূরত্বে রয়েছে। তবে তার দূরত্ব এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে বিজ্ঞানীদের দাবি, এদের আকৃতি এতটাই ছোট হয়, যে দূরত্ব নির্ধারণ করতে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে নয়া আবিষ্কৃত ‘ছোট চাঁদ’কে নিয়ে আরও গবেষণা করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।